Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাংকিং খাতের গতিশীলতা ও দেশের উন্নয়ন

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ আবু তাহের : ব্যাংককে বলা হয় অর্থনীতির ধারক ও বাহক। লক্ষ লক্ষ সঞ্চয়ী মানুষের ভরসা হলো ব্যাংক। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আর্থিক খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক খাত। এ খাতের আওতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক সেবামান। ব্যাংকিং ব্যবস্থা হচ্ছে আধুনিকায়ন। মানুষ দ্রæত ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে। যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় চালিকশক্তি হলো ব্যাংকিং খাত। অর্থ গচ্ছিত রাখা, অর্থ লেনদেন করা, বিভিন্ন ধরনের ঋণসেবা প্রদান, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ নিশ্চিত করা, এসএমই-এর উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রমে ব্যাংকিং খাত সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সোনালী, পূবালী, রূপালী, জনতা ও কৃষি ব্যাংকসহ সব ব্যাংকই ছিল রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক। পাশাপাশি বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোও ছিল সরকারি। অর্থনৈতিক যাবতীয় লেনদেন ছিল এ ব্যাংকগুলোকে ঘিরেই। পরবর্তী সময়ে কিছু সরকারি ব্যাংককে আবার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়।
আশির দশকের প্রারম্ভে ব্যাংকিং খাতকে আরো গতিশীল এবং সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে বেসরকারি ব্যাংক চালু করার অনুমোদন দেয়া হয়। ১৯৮২ সালে প্রথম বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে এবি ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে দেশে ৪০টিরও বেশি বেসরকারি ব্যাংক তাদের কার্যক্রম চালু রেখেছে। এর বাইরে বৈদেশিক বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানসহ আরো ১০টি ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রাষ্ট্র পরিচালিত আরো কয়েকটি বিশেষায়িত ব্যাংক যেমন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংক মিলে মোট ব্যাংক রয়েছে ৫৯টি। শহরের চেয়ে গ্রামেই এখন ব্যাংকের শাখা বেশি। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অভাবনীয় পুনর্জাগরণ লক্ষ করা যাচ্ছে। আধুনিকায়ন এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ধারায় গ্রাহকসেবা ও চাহিদা পূরণে বেসরকারি ব্যাংকগুলো গতিশীল ভূমিকা রাখছে। সরকারি ব্যাংকগুলোও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রæততম সময়ে গ্রাহকসেবা আধুনিকায়ন করার ব্যাপারে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট রয়েছে। এখন কোনো ব্যাংকেই আগের মত টাকা তুলতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণেই গ্রাহকরা দ্রæত ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছেন। অনলাইন পদ্ধতিতে যে কেউ এখন এটিএম(অটোমেটেড টেলর মেশিন) সেবার আওতায় যে কোন জায়গা থেকে যেমন টাকা তুলতে পারেন তেমনি জমাও দিতে পারেন। প্রতিটি ব্যাংকে আধুনিক জনবল রয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকেই বর্তমান প্রজন্মের মেধাবী সৃজনশীল তরুণদের লক্ষ করা যায়। ব্যাংকগুলো মুনাফা করে বেশি। প্রবৃদ্ধির হারও বেশি। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো শুধুমাত্র মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যেই কাজ করে না, দেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়েও অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সামাজিক দায়বদ্ধতায়ও ব্যাংকগুলোর ভূমিকা প্রশংসনীয়। মেধাবৃত্তি প্রদান, হাসপাতাল ক্লিনিক নির্মাণ, হাসপাতালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম ব্যাংকগুলো পরিচালনা করছে। এছাড়াও ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় স্পন্সর করছে বিভিন্ন ব্যাংক। দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায়তায়ও ব্যাংকগুলো অবদান রাখছে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অর্থ প্রদানসহ শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ করেও সামাজিক দায়বদ্ধতায় চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাংকগুলো।
সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এগিয়ে নিতেও ব্যাংকগুলো বর্তমানে অবদান রেখে চলেছে। দেশের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোটি কোটি টাকা মেধাবৃত্তি প্রদান করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির লেখাপড়া করার সুযোগ নিশ্চিত করেছে ব্যাংকগুলো। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো এগিয়ে এসেছে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বিভিন্ন ব্যাংকের ভূমিকা লক্ষনীয়। সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ব্যাংকিং সেবার কর্মসূচীর আওতায় আনার জন্য কৃষকদের জন্য ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। উন্নয়নের প্রধান লক্ষ্য হলো দারিদ্র দূরীকরণ। আর দারিদ্র দূরীকরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো এসএমই খাত। এসএমই খাতের বিকাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের বহুমুখী কর্মসূচী প্রশংসনীয়। দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে এসএমই খাত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।
সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো এসএমই খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়ে দেশের দারিদ্র্য মোচনে বেকার সমস্যার সমাধানে অবদান রেখে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। জামানতবিহীন এসএমই ঋণের কারণে সারাদেশে এসএমই শিল্পোদ্যোক্তাদের মাঝে গতির সঞ্চার হয়েছে। এসএমই এর কারণে দেশে বিপুল সংখ্যক নারীর জীবনে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়াও ব্যাংকিং চ্যানেলে স্বল্প সময়ে রেমিট্যান্স প্রদান, ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা(এটিএম), মোবাইল ব্যাংকিং, স্কুল ব্যাংকিং, প্রবাসী ঋণ, মৎস্য ঋণ, আমদানি বিকল্প শস্য খাতে ৪% হারে সুদে ঋণ প্রদান, দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে পুনঃ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় কম সুদে ঋণ প্রদান, প্রাণি সম্পদ খাতে ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদান অব্যাহত রেখেছে। বর্গাচাষীদের জন্যও জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা চালু রয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থসামাজিক উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ব্যাংকিং কার্যক্রমকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য কৃষিবান্ধব এবং গ্রিন ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে ব্যাংকিং অর্থায়নের মধ্যে এনে অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো, সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে জাতীয় উন্নয়নে শামিল করা, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর ভূমিকার কারণে এখন আর কোনো কিছুই অসম্ভব বলে মনে হয় না। ব্যাংকিং খাতের গতিশীলতার কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী সমাজ দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান কারিগর ও চালিকাশক্তি। দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে ব্যবসায়ী সমাজকে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হয়। ব্যবসায়ীদের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে হলে ব্যাংকিং খাতের ইতিবাচক ভূমিকাকেও এগিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে ব্যাংকগুলো সে ভূমিকাই পালন করছে।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তা এখন বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত। সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন অনেক দেশের জন্যই উদাহরণ। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। এই এগিয়ে চলা শিক্ষিত, অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত কৃষক, গার্মেন্টস কর্মী, ব্যাংকার, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের পেশাজীবী এবং শ্রমিকদের হাত ধরে। তাদের কারণেই সম্ভব হয়েছে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা। যে বাংলাদেশকে আগে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিল সেই বাংলাদেশকে উন্নয়নের সুতিকাগার বলে চিহ্নিত করেছেন ব্রিটিশ ও নরওয়ের অর্থনীতিবিদগণ। বিশ্ব ব্যাংকের মতে, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারে। লন্ডনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ লিখেছে, ২০৫০ সালে প্রবৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশ পশ্চিমা দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ১৯৭২ সালে দেশে খাদ্য উৎপাদন ছিল এক কোটি দশ লাখ মেট্রিক টন। যা বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। ৪৬ বছরে একদিকে বেড়েছে জনসংখ্যা দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। পাশাপাশি আবাদি জমি কমেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। অথচ এখন চাল উৎপাদন হচ্ছে তিনগুণেরও বেশি। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের এ সাফল্যের কৃতিত্ব এ দেশের কৃষকের ও কৃষি গবেষকদের। এ সাফল্যের অংশীদার সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকও। বিশেষ করে দেশের প্রান্তিক কৃষক, বর্গাচাষী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের কৃষি ঋণ দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলছে। ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে, ২০১৬ ও ২০১৭ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য উল্লেখযোগ্য বছর। এ সময়ে অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত ছিল। গত দুই বছরের উন্নয়ন বিস্ময়কর। দেশের জিডিপি এখন ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। দেশের প্রবৃদ্ধি যেমন ছিল ঈর্ষণীয় ঠিক তেমনি দারিদ্র্য বিমোচন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ, গড় মাথাপিছু আয়, রিজার্ভ, খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নসহ উন্নয়নের সব সূচকের সাফল্য ছিল অভূতপূর্ব। দাতা সংস্থাগুলো তাদের প্রতিশ্রæত অর্থ প্রত্যাহারের পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এসব কারণেই বিদেশে দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হয়েছে। জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব ধারাবাহিক উন্নয়নকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল ৯২ শতাংশ মানুষ। আর মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ছিল ১০০ ডলার। বর্তমানে দারিদ্র্যের হার নেমে এসছে সাড়ে ২৩ শতাংশে। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, অতি দারিদ্র্যের হার এখন ১২ দশমিক ১ শতাংশ। এক সময় খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে বিদেশের দিকে চেয়ে থাকতে হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর খাদ্য সহায়তা নেয় না। আর্থিক খাতে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে সরকার। এ কারণেই আগামীতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও উৎপাদনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের(এডিবি) হিসেবে বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ মানুষ এখন কর্মক্ষম। ২০২২ সালে কর্মক্ষম মানুষের হার ৬৯ শতাংশে উন্নীত হবে। অপরদিকে বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ কর্মবাজারে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। বিপুল জনশক্তির কর্মের নিশ্চয়তা দিতে অবকাঠামো উন্নয়নে চলছে বিশাল কর্মকাÐ। রাজধানীর যানযট নিরসনে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চার লেনে রূপান্তর করা হয়েছে। চার লেনের কাজ চলছে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে। সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চার লেনের মহাসড়কে বদলে যাবে সিলেট। এতে সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসার প্রসার ঘটবে এবং শিল্পায়নে পিছিয়ে পড়া সিলেট অনেক এগিয়ে যাবে। দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় তৈরি পোষাক, নির্মাণ, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া এবং জাহাজ নির্মাণ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩ লাখ ৭ হাজার ৪শ জনকে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান ও ১ লাখ ৮২ হাজার জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কাজ চলছে।
১১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৩ দিনব্যাপী দেশের সব উপজেলা ও জেলা শহরে উন্নয়ন মেলা-২০১৮ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ অর্জনে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরাই এ মেলার লক্ষ্য। সব সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মেলায় অংশগ্রহণকারী মানুষদের সামনে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সফলতা তুলে ধরা হচ্ছে। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উদ্যোগগুলো হলো- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, আশ্রয়ন প্রকল্প, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচী, নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচী, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি
লেখক: আইন কর্মকর্তা(এসপিও), পূবালী ব্যাংক, আঞ্চলিক কার্যালয়, মৌলভীবাজার



 

Show all comments
  • Furkanjakere ১৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১০:০৪ পিএম says : 0
    খুবই চমৎকার। আমরা আশা রাখি এভাবে জাতির পক্ষেই লিখতে থাকবেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংকিং খাত

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন