বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপা না গেলে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস অন্যরকম হতো বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তিনবার আমাদের সহযোগিতায় ক্ষমতায় এসেছে। বিনিময়ে কিছুই পাইনি। ১৯৯৬ সালে বিএনপির দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে সমর্থন দেয়ার বিনিময়ে তারা আমার দলের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দিয়ে দল ভাঙ্গালেন, আমাদের ১৪জন এমপিকে কিনে নিলেন। আমাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানাসহ নির্বাচনে অযোগ্য করা হলো। ২০০৮ সালে মহাজোট করা হলো। কথা ছিলো ৪৮টি আসন দিবে, কিন্তু দেয়া হলো মাত্র ৩৩টি। জয়ী হলাম ২৯টিতে। বিএনপি পেলো ৩০টি। আমাদের কাছ থেকে যদি সেই ১৭টি আসন কেড়ে না নিতো তাহলে আমরা তখনই প্রধান বিরোধীদল হই। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা হতে দিলো না। আর ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপা যদি না যেতো তাহলে হয়তো বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো। আজ দলের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে র্যালীপূর্বক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমাহীন অত্যাচারের মাধ্যমে বিএনপি আমাদের নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছিলো। আল্লাহ আছেন, বিচার আছে। আমাকে এবং আমার পরিবারকে বিনা দোষে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিলেন। আজ আপনার (বেগম জিয়া) কারাগার অতি সন্নিকটে। আমার প্রতি অনেক অন্যায় কাজ করেছেন, আজ তার প্রতিফল পাচ্ছেন। রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, নাসির উদ্দিন মামুন, ইসহাক ভূঁইয়া, একেএম আসরাফুজ্জামান খান প্রমুখ।
এইচ এম এরশাদ বলেন, মানুষের মাঝে প্রতিনিয়ত খুন আর গুমের ভীতি, অস্থির রাজনীতি। কিন্তু আমাদের মাঝে আর হতাশা নেই। বিজয়ের মাসে রংপুরে অভূতপূর্ব বিজয় প্রমাণ করেছে জাতীয় পার্টি আছে এবং থাকবে। রাষ্ট্রপধান হতে চাইনি। তৎকালীন বিএনপির সরকারের মন্ত্রী সভা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে সাত্তার সাহেবেরে অনুরোধে সেদিন ক্ষমতা নিয়ে ছিলাম। ক্ষমতা নিয়ে নির্বাচন দিয়ে ছিলাম। কেউ আসলেন না। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারিতে জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করে সামরিক শাসন বিলুপ্ত করি। তার চার মাস পর নির্বাচন হলো। সে নির্বাচনে আওয়ালী লীগ, জামায়াত, সিপিবি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ২৮টি দল অংশ নিলো। চার মাসের এই দল ১৭৪টি আসন পেয়ে জয়ী হলো। আমাদের শাসনামলকে কেউ অবৈধ বলতে পারবে না। কারণ, হাইকোর্ট ১৯৮৬ সাল থেকে জাতীয় পার্টির শাসনামল বৈধ ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত বলেন, আমি দেশের জন্য অনেক কিছু করেছি। আমার হাতে রক্তের দাগ নেই। ডা. মিলনকে কে হত্যা করেছে আমি জানিনা। হত্যাকারীদের গ্রেফতারও করা হলোনা। নুর হোসেনকে পিছন থেকে গুলি করা হলো, তার হত্যারও বিচার কোনো সরকার করলো না। আমি ক্ষমতায় আসতে পারলে এই হত্যার বিচার করে প্রমাণ করবো আসলে এই হত্যার পিছনে কারা দায়ী। আর কেনো তাদের হত্যা করা হলো।
নিজ দলের ভবিষ্যৎ উত্তারধিকারী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাপার ভবিষ্যৎ দায়িত্ব কে পাবেন তা একটি বিরাট প্রশ্ন। এ বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত দিবো। আর যদি কোনো কারণে আমি ঘোষণা না করে যেতে পারি, তাহলে প্রেসিডিয়াম সিদ্ধান্ত নেবে কে হবে জাপার ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।