পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। কোরআন তেলাওয়াত, স্মরণসভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হবে।
জাতীয় পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ জুলাই সকাল ৮টায় জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল মিলনায়তনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হবে। বিকেলে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। স্মরণ সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সভা শেষে বিকেলে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। পরের দিন রাজধানীর শ্যামপুর জুরাইন রেল গেটে ৩ হাজার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়াও এরশাদ ট্রাস্ট ও ব্যক্তিগতভাবে বেগম রওশন এরশাদের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে তার পরিবার রংপুরে চলে আসে। রংপুরেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালের ফেব্রুারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হন। গণআন্দোলনের মধ্যে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে এরশাদ গ্রেফতার হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় এরশাদ ৫টি করে আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।