পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : টানা তিনদিন ধরে চলা ইরানের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ আরো বিস্তৃত হয়ে নতুন কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে, পাশাপাশি সহিংসতার মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শনিবার রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ও কয়েকটি সরকারি ভবনে হামলা চালায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিও প্রতিবেদনে দেশটির এক প্রাদেশিক শহরে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কথিত দুর্নীতির অভিযোগে সৃষ্ট অসন্তোষ থেকে দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল শহর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মাশহাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ শুরু করেছিল বিক্ষুব্ধরা; পরে তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রূপ নিয়ে ক্রমেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট মেহমুদ আহমাদিনেজাদ বিতর্কিতভাবে দ্বিতীয়বারের মতো ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপর থেকে এবারের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকেই জন অসন্তোষের সবচেয়ে গুরুতর ও ব্যাপক প্রকাশ হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। ২০০৯ সালে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ওই অস্থিরতা কঠোর হাতে দমন করেছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। শনিবার ইরানজুড়ে ওই অস্থিরতা দমনের বার্ষিকীও সরকারিভাবে পালন করা হয়। এতে দেশটির শহরগুলোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত মিছিল দেখা যায়। দেশটির ১,২০০ শহরে সরকারপন্থি মিছিল হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একই সময় সরকারবিরোধী বিক্ষোভও রাজধানী তেহরানে আরো বিস্তৃত হয়েছে, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। তেহরানে প্রথমবারের মতো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। শহরের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নিয়ে তারা পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারে, এর অদূরেই সরকারপন্থি মিছিলকারীরা অবস্থান করছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর দোরুদে সারা শরীরে রক্ত মাখা দুই তরুণকে নিশ্চিলভাবে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। নেপথ্য বর্ণনায় ওই দুই তরুণ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়া দাঙ্গা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ভিডিওটিতে অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের ‘যারা আমার ভাইকে খুন করেছে, আমি তাদের হত্যা করবো!’ শ্লোগান দিতে দেখা গেছে। এই ভিডিওগুলোর সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এর আগের ভিডিওগুলোতে দোরুদের মিছিলকারীদের ‘একনায়কের মৃত্যু হোক’ শ্লোগান দিতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশহাদ থেকে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা পুলিশের একটি গাড়ি উল্টে ফেলছে ও পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, তেহরানের মূল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ৭০ জনেরও বেশি ছাত্র পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মেরেছে ও ‘একনায়কের মৃত্যু হোক’ শ্লোগান দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ফুটেজে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মিছিল করতে থাকা অন্যান্য বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি পেটা করছে দাঙ্গা পুলিশ এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।