Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইব্রাহিম ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

ইরানে ইসলামী বিপ্লব পরবর্তী ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন ৬০ বছর বয়সী রক্ষণশীল শিয়া নেতা সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি পেয়েছেন ১৭.৮ মিলিয়ন ভোট। তার প্রতিদ্ব›দ্বী মোহসেন রেজায়ি পেয়েছেন ৩.৩ মিলিয়ন ভোট। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন হেডকোয়ার্টার থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মোহসেন রেজায়ি ও আবদুননাসের হেম্মাতি। শনিবার সকালে পৃথক বার্তায় তারা অভিন্দন জানান। খবর প্রেসটিভির। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রুহানিও টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করেননি। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট দুই কোটি ৮৬ লাখ ভোটার অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে গণনা করা ভোটের হিসাব অনুযায়ী ইবরাহিম রইসি পেয়েছেন এক কোটি ৭৮ লাখ ভোট। তার পরপরই রয়েছেন অপর রক্ষণশীল প্রার্থী মোহসিন রেজায়ি। তিনি পেয়েছেন ৩৩ লাখ ভোট। সংস্কারপন্থী প্রার্থী ও ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান আবদুন নাসের হেমমাতি পেয়েছেন ২৪ লাখ ভোট। চতুর্থ প্রার্থী আমির হোসাইন কাজীজাদেহ হাশেমি পেয়েছেন ১০ লাখ ভোট। ইরানে মোট পাঁচ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার তিন শ’ সাতজন নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া হিসাব অনুযায়ী মোট ভোটারের ৪৮.২৩ ভাগ ভোটার নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন, যা দেশটির ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিম্নতম ভোটার অংশ গ্রহণের রেকর্ড। এর আগে ১৯৯৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিত হয়েছিলেন। ওই সময় দেশটির মোট ভোটারের ৫০.৬৬ ভাগ নির্বাচনে ভোট দেন। ২০১৯ সালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন খামেনি। ইরানের শিয়া মুসলিমদের কাছে পবিত্র তীর্থ বলে বিবেচিত ইমাম রেজার মাজারের রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দাতব্য কার্যক্রম ও দেশের অধিকাংশ কোম্পানি পরিচালনাও করে থাকে এই ফাউন্ডেশন। তিন বছর মোটামুটি সফলভাবে আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেনের নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দেন খামেনি। এ পদে থাকার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়ে তার। নিজেকে ‘দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অভিজাতদের’ ঘোর বিরোধী হিসেবে প্রকাশ করা রাইসি রাজনৈতিক দিক থেকে শিয়া ইসলামি কট্টরপন্থার সমর্থক। দেশের গণতন্ত্রপন্থিদের পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশগুলোরও কঠোর সমালোচক। তবে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি প্রায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের বিষয়ে সুর নরম করেছেন তিনি।প্রেসটিভি, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

 

 

 

 



 

Show all comments
  • mosaddak ali ২৪ জুন, ২০২১, ১:০০ পিএম says : 0
    ভালো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরানের প্রেসিডেন্ট
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ