পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ছয় বৈশ্বিক পরাশক্তির সঙ্গে ইরানের বহুল আলোচিত পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে দেশটির সঙ্গে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এই আলোচনা শুরু হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার এ আলোচনায় অন্যান্য বৈশ্বিক পরাশক্তির মতো চীনও অংশ নিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ইরান অবাস্তব দাবি করছে এমন অভিযোগ তুলে পরমাণু চুক্তির আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বৃহস্পতিবার আবারও তা চালু হয়েছে। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি এবং চীনের প্রতিনিধিরা আছেন। মধ্যস্থতা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এনরিক মোরা। গত সপ্তাহে পরমাণু চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়ছে। কিন্তু সেই আলোচনা অমিমাংসিতই ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, বৈঠকে অবাস্তব দাবি করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মোরা। তিনি জানান, পরমাণু চুক্তিটির বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা সকলেই অনুভব করছেন। সে কারণেই ফের আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন সবাই। আশা করছি সমাধানসূত্রে পৌঁছে যাবে। ২০১৫ সালে ইরানকে নিয়ে অন্য পরাশক্তি দেশগুলো পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়, এমন পরিমাণ ইউরেনিয়াম ইরান জমা করতে পারবে না। জাতিসংঘ ইরানের পরমাণু পরীক্ষাগারে নজরদারি চালাতে পারবে।
কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন দাবি করেন, তার পক্ষে ওই চুক্তিতে থাকা অসম্ভব। কারণ ইরান চুক্তি মানছে না। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি। সেসময় ইরানও ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে সরব হয়। সূত্র : আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।