পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রয়টার্স : চীন ও পাকিস্তান তাদের ৫৭ বিলিয়ন ডলারের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পে প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মঙ্গলবার এ কথা জানান। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাদের সম্পর্কের উন্নয়ন করতে রাজি হয়েছে। সিপিইসি এশিয়া, ইউরোপ ও তার বাইরের অঞ্চলের সাথে চীনকে সংযুক্ত করার উচ্চাকাক্সক্ষী বেল্ট অ্যান্ড রোড পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
গতকাল বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর ওয়াং ই সাংবাদিকদের বলেন, চীন আশা করে যে সিপিইসি থেকে গোটা অঞ্চলই লাভবান হবে এবং তা এ অঞ্চলের উন্নয়নে গতি সঞ্চার করবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তান তার জনগণের জীবনযাত্রার অগ্রগতি ও উন্নয়ন চায়। তাই তারা আন্তসংযোগ উদ্যোগে যোগ দেয়ার আশা করছে।
ওয়াং ই বলেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাদের মধ্যকার তিক্ত সম্পর্ক উন্নয়ন করতে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, চীন ও পাকিস্তান পারস্পরিক কল্যাণ নীতির ভিত্তিতে সিপিইসিকে আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী।
ওয়াং বিশদ ব্যাখ্যা না করে বলেন, তিন দেশ ক্রমবর্ধমান ভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা, সমস্যা মোকাবেলা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্প গ্রহণের বিষয় আলোচনা করবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, তার দেশ ও চীন লৌহকঠিন ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। তিনি সিপিইসিতে আফগানস্তানের যোগদানের সম্ভাবনা বিসয়ে সরাসরি কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, সিপিইসি সাফল্যজনক ভাবে সম্পন্ন হলে তা আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্য এশিয়ার অন্যান্যদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে অনুরূপ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সংযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির মডেল হিসেবে কাজ করবে।
চীন পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে তার পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদের বিস্তৃতির আশংকায় কাবুল ও ইসলামাবাদকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায়। তারা যাতে স্ব স্ব দেশে সহিংসতা আরো ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারে সে কারণেই দু’দেশকে তাদের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চীন চাপ দিচ্ছে। পাশাপাশি তালিবানের সাথে শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য সীিিমত পর্যায়ে মধ্যস্থতা করছে।
ওয়াং বলেন, চীন আফগান সরকার ও তালবানের মদ্য্রে শান্তি আলোচনাকে পূর্ণ ভাবে সমর্থন করে এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৭ সাল থেকে টানাপড়েনের সম্পর্ক বিরাজ করছে। চীন দু’দেশের মধ্যে আলোচনা জোরদার করতে সহায়ক ভ‚মিকা পালনের চেষ্টা করছে।
পাকিস্তান ভারতের সাথে তার পুরনো শত্রæতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কাবুলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালিবানদের সমর্থন করছে অভিযোগে সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ত হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, স্ম্প্রাতিক বছরগুলোতে ভারতের সাথে আফগানিস্তানের সম্পর্ক যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ রূপ গ্রহণ করেছে।
তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে। পাকিস্তান বলে, তারা শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল আফগানিস্তান চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।