পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : জেরুজালেম ইস্যুতে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের জরুরি বৈঠকে অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘বাতিল ও প্রত্যাখ্যান’ করে একটি রেজ্যুলেশন পাস হওয়ায় তিনি এটিকে ‘অত্যন্ত আনন্দের’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি আল-আকসার সমর্থনকারী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরদোগান তার টুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা আল-কুদস আল-শরীফের ঐতিহাসিক প্রস্তাবের পক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অভূতপূর্ব সমর্থনকে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছি।’ ‘আমরা আশা করি ট্রাম্প প্রশাসন তার দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিবে। তাদের সিদ্ধান্তটি যে অবৈধ ছিল তা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটের ফলাফলে পরিষ্কারভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’এরদোগান লিখেন। তিনি আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিন ও আল-কুদস আল-শরীফের সমর্থনকারী সকলের প্রতি আমি আমার নিজের এবং তুর্কি জনগণের পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ অপর একটি বিবৃতিতে, তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন এই অঞ্চলে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’ ইলদিরিম বলেন, তুরস্ক সব সময়েই ফিলিস্তিনি ভাই, মানবতা, জেরুজালেম, ন্যায়বিচার এবং নিপীড়িতদের পাশে থাকবে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে জেরুজালেম ইস্যুতে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৭২ দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের ঘোষণাকে বাতিল ও প্রত্যাখ্যান করে একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়। জাতিসংঘের ইতিহাসে অভূতপূর্ব এ ঘটনার মাধ্যমে জেরুজালেম ইস্যুতে কোনঠাসা হয়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। আগের দিনের যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ও চাপকে অগ্রাহ্য করে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ভোট দেয় ১২৮ টি দেশ। মাত্র নয়টি দেশ ছিল ইসরাইলের পক্ষে। ৩৫টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। এর আগে গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জেরুজালেম প্রশ্নে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে মিশর। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় ওই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। এই ভোটাভুটির আগেই সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি বার্তা পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দিলে সেই দেশগুলোকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন গত মঙ্গলবার। তিনি বলেছিলেন, সাধারণ পরিষদে ‘আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া দেশগুলোর’ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। এই মার্কিন দূত হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ভোটাভুটিকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট এই ভোটাভুটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভোট দেবেÍআমার ওপর নির্দেশ আছে যাতে ওই দেশগুলোর নাম সংগ্রহ করে তাঁর (ট্রাম্প) কাছে একটা প্রতিবেদন দিই। আমরা জেরুজালেম প্রশ্নে প্রত্যেকটা ভোটের হিসাব রাখব।’ আনাদুলো এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।