Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তারকা পেতে জানুয়ারিতেই প্রিমিয়ার লিগ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাতীয় দলের তারকাদের পেতে এতদিন বৃষ্টি আর তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ হয়ে আসছিল। এবার এই আসরকে আরও জমজমাট করতে এগিয়ে আনা হচ্ছে সূচি। চেষ্টা হবে টিভিতে স¤প্রচারেরও। দায়িত্ব নেওয়ার পর সিসিডিএমের নতুন চেয়ারম্যান জানালেন এবার লিগ শুরু হতে পারে ২০ জানুয়ারি। বিসিবির সবশেষ সভায় নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করার হয়। আগেরবারের থেকে এবার যেসব রদবদল এসেছে তারমধ্যে অন্যতম সিসিডিএম। ঘরোয়া ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান কাজি ইনাম আহমেন। নতুন দায়িত্ব নিয়ে তিনি শোনালেন নতুন আশাবাদ।
গেল আসরে রোজা, বৃষ্টি আর গরম মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগ চালাতে বেগ পেতে হয়েছিল আয়োজকদের। সেই সমস্যা মাথায় রেখে ইনাম জানালেন, ‘প্রিমিয়ার লিগ গত কয়েক বছরে দেখেছি বৃষ্টির সময়, রোজার সময় হয়। অনেক ক্লাবই আমাদেরকে এটা নিয়ে বলেছে। আমরাও ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। জানুয়ারি ২ বা ৩ তারিখ আমরা ক্লাব কতাদের সঙ্গে বসব। প্রিমিয়ার লিগ আবার আমরা জানুয়ারি-ফেব্রæয়ারিতে ফিরিয়ে আনতে। এবার জানুয়ারির ২০ তারিখ আমরা শুরুর চেষ্টা করব। তার ৮-১০ দিন আগে “প্লেয়ার্স বাই চয়েজ” ড্রাফট যাতে করা যায়, সেটির জন্য ইতিমধ্যেই ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলছি।’
দলবদল নিয়ে অবশ্য ক্রিকেটারদের জন্য সুখবর নেই। এবারও ক্রিকেটারদের স্বাধীনভাবে দল বাছাইয়ের সুযোগ থাকছে না। বিভিন্ন গ্রেডিং ঠিক করে পারিশ্রমিক বেধে দেওয়া এই নিয়মই থাকছে আরও একবার, ‘এবার আমরা “প্লেয়ার্স বাই চয়েজ” পদ্ধতিতে দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেকগুলো ক্লাব আমাদের কাছে অনুরোধ করেছে। পাশাপাশি আমরা যেটি বিবেচনা করে দেখেছি, আমাদের জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার খেলতে পারবে না। কারণ লিগ হবে জানুয়ারি-ফেব্রæয়ারি-মার্চে। প্রতিটি ক্লাব চারজন করে ক্রিকেটার ধরে রাখতে (রিটেইন করতে) পারবে।’
ক্লাবগুলোর কথা হচ্ছে, খেলাটা আস্তে আস্তে টেকসই (সাসটেইনেবল) থাকছে না। অনেক চাহিদা এসে যাচ্ছে, যেটা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না টিকে থাকার ক্ষেত্রে। যে কারণে প্লেয়ার্স বাই চয়েজ আসছে। তবে ক্রিকেটারদের ব্যাপারটিও আমাদের ভাবনায় আছে। বিশেষ করে এই লিগ যেহেতু অনেক ক্রিকেটারের আয়ের মূল উৎস। সেটিও আমরা ঠিক রাখার চেষ্টা করব। আমরা এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচকদের অনুরোধ করেছি গ্রেডিং অনুযায়ী পারিশ্রমিক ঠিক করতে। গত মৌসুমে কে কেমন টাকা পেয়েছে, আমাদের একটি ধারণা আছে। সেটা বিবেচনা করেই করা হবে। ক্রিকেটাররা যেন সেটির আশেপাশেই পায়, সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে।’
ভেন্যু নিয়েও নতুন সিদ্ধান্তের দিকে যেতে চাইছে সিসিডিএম। এবার রাজধানীর ভেতরেই বিকল্প মাঠে খেলার কথা ভাবা হচ্ছে, ‘গত কয়েক মৌসুমে মাঠের স্বল্পতা ছিল। প্রিমিয়ার লিগের খেলা আমরা ভালো মাঠে চালাতে চাই। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট এটি। সাধারণ বিকেএসপির দুটি মাঠ ব্যবহার করা হয়, ফতুল্লা। আমরা চেষ্টা করব ঢাকা শহরের ভেতরে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলো কাজে লাগাতে। বিশেষ করে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠ, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ আছে.. ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে, প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখব মাঠগুলোকে আবার কাজে লাগানো যায় কি না।’
পাশের দেশ ভারতে যেখানে রঞ্জি ট্রফিও সরাসরি স¤প্রচারিত হয়, বাংলাদেশে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও পায় না স¤প্রচারের আলো। এবার নাকি করা হবে সে চেষ্টাও, ‘আমরা চেষ্টা করব সুপার লিগের খেলাগুলো, অন্তত ৫-৬টি খেলা সরাসরি স¤প্রচার করতে। আগেও অনেকবার আলাপ করেছি, সরাসরি স¤প্রচার না হলেও মাঠে ফিক্সড ক্যামেরা ব্যবহার করা হলে নির্বাচকদের জন্য সুবিধা হয়। খেলার মান যাচাই করা যায়। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব কিছু করতে।’
এটি করতে হলে প্রিমিয়ার লিগের মার্কেটিং পলিসিতেও যে ব্যপক রদবদলের প্রয়োজন সেটিও জানেন সিসিডিএম নতুন চেয়ারম্যান। জানালেন, ‘সুপার লিগে যদি মাঠে দর্শক আসে, যদি টিভিতে স¤প্রচার করতে পারি, তাহলে সবাই উৎসাহিত হবে। লিগ জনপ্রিয় হলেই কিন্তু মাঠে দর্শক আসা বাড়বে। মার্কেটিং করা বা স্পন্সর পাওয়া সুবিধে হবে। জৌলুস ফিরিয়ে আনতে পারলে শুধু লিগ নয়, ক্লাবগুলোও স্পন্সর পাবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রিমিয়ার লিগ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ