Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এবার সময় অবসর নেয়ার : সোনিয়া

কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েই মোদির সমালোচনায় রাহুল

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের দলীয় প্রধানের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছেন রাহুল গান্ধী। গত ১৯ বছর ধরে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তার মা সোনিয়া গান্ধী। গতকাল শনিবার নয়াদিল্লির ২৪ আকবর রোডে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে মায়ের কাছ থেকে দলের সভাপতির দায়িত্ব নেন রাহুল। নেহরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম উত্তরসূরী হিসেবে রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের দায়িত্ব নিলেন। দলটি বলছে, রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেসের নতুন যুগের দ্বার উন্মোচন হলো। এর আগে দলীয় প্রধানের মনোনয়নের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্য কোনো নেতা মনোনয়ন দাখিল না করায় বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় রাহুল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সাল থেকে কংগ্রেসের প্রধানের দায়িত্বে থাকা সোনিয়া গান্ধী শুক্রবার এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি এখন অবসরে যাবো। এবার সময় অবসর নেয়ার। গত তিন বছর ধরে দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে সোনিয়া জানান। কংগ্রেসের মুখপাত্র রনদ্বীপ সুরজওয়ালা বলেছেন, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস জাতিগঠনে নতুন ভূমিকা পালন করবে। দায়িত্ব গ্রহণের পর দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে রাহুল গান্ধী বলেন, অনেক ভারতীয়র মতো, আমি একজন আদর্শবাদী। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি কংগ্রেস মুক্ত ভারত চায়, কিন্তু আমরা ঘৃণাকে ঘৃণা দিয়ে মোকাবেলা করি না। কংগ্রেস প্রধান হিসেবে দেয়া প্রথম বক্তৃতায় আক্রমণাত্মক ভাষায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছেন। রাহুল বলেন, ভারতকে একুশ শতকে নিয়ে এসেছে কংগ্রেস; কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিচ্ছে। সোনিয়া গান্ধী বলেন, আমাদের দেশীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত এসেছে। সর্বত্রই ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে। দলের সাংবিধানিক মূল্যবোধের ওপর আঘাত আসছে। তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী আমাকে নিজের মেয়ের মতো দেখেছেন এবং আমি ভারত সম্পর্কে তার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছি। সোনিয়া গান্ধী বক্তৃতা শুরুর আগে নতুন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমার বক্তৃতা শুরুর আগে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ায় রাহুল জি’কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সোনিয়া আরো বলেন, সা¤প্রদায়িক শক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। রাজীব ও ইন্দিরা গান্ধীর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই ছিল আমার প্রধান উদ্দেশ্য। সোনিয়া দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও তার প্রতি বরাবরের মতোই আস্থা রয়েছে দলটির। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলি বলেন, সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সভানেত্রী না থাকলেও দলকে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি দলটির সংকটে পথ দেখাবেন। সোনিয়ার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে যেভাবে তিনি জোট গঠনের প্রক্রিয়া সামলেছিলেন এবং ২০০৯ সালে ইউপিএ (ইউনাইটেড পিপলস অ্যালায়েন্স) সরকার গঠনে তিনি যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। এনডিটিভি।



 

Show all comments
  • বশির ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৩:৩৫ এএম says : 0
    একেই বলে নেতা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোনিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ