মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশটিকে ছিন্নভিন্ন করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অন্তর্র্বতীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। দিল্লির রামলীলা ময়দানে গতকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আয়োজিত ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
এ সময় বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে সোনিয়া বলেন, নাগরিকত্ব আইন ভারতের হৃদয় ছিন্নভিন্ন করবে। অথচ তা নিয়ে মোদি-অমিত শাহের কিছু যায় আসে না।' এ সময় ভারতকে বাঁচাতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান তিনি। সোনিয়া আরও বলেন, 'অবস্থা এখন এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তারা চাইলেই একটি ধারা জারি বা বাতিল করতে পারে এবং চাইলেই রাজ্যের প্রকৃতি পাল্টে ফেলে। যেখানে ইচ্ছা সেখানেই রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা জারি করছে। বিল পাস করছে বিতর্ক ছাড়াই।'
রাহুল গান্ধীও নাগরিকত্ব আইনের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এর মধ্য দিয়ে মোদি উত্তর-পূর্ব ভারতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে বিজেপি তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, 'আমার নাম রাহুল সাবারকার নয়, রাহুল গান্ধী। সত্য বলার জন্য কখনো ক্ষমা চাইব না।'
তিনি আরও বলেন, 'একটা সময় ছিল যখন এই দেশে ৯ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল, লোকজন চীন ও ভারতের সাফল্যের গল্প একসঙ্গে বলত। আমাদের 'চিনডিয়া' বলে ডাকত। কিন্তু এখন আমাদের দেশের দিকে তাকান। এখন এখানে দেশের মানুষ হাতে পেঁয়াজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পেঁয়াজ ২০০ রুপি কেজিতে পৌঁছেছে।'
সমাবেশে রাহুল বলেন, 'আমরা এখানে এসেছি এই বার্তা দিতে যে, কংগ্রেস দল পিছু হটবে না। আমরা এই জাতি ও আমাদের সংবিধানের মূল্যবোধ বজায় রাখতে আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করব।'
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, 'দেশের চলমান অবিচারের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করবে না, তারা ভীতু। ভারত হলো ভালো, অহিংসা ও ভ্রাতৃত্বের দেশ। কিন্তু যদি আতঙ্ক ও মিথ্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার না হন, তাহলে সংবিধান ধ্বংস হয়ে যাবে। বিজেপি-আরএসএসের মিথ্যাবাদী ও বেপরোয়া নেতাদের মতোই আমরাও সেজন্য দায়ী থাকব।' সমাবেশে রাহুল গান্ধীকে 'আমার নেতা' উল্লেখ করে সরকারের 'মোদি থাকলে সব সম্ভব' ¯েøাগান নিয়েও ব্যঙ্গ করেন তিনি। এদিনের সমাবেশে সদ্য কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি. চিদাম্বরমও বক্তব্য রাখেন।
এদিকে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নে প্রথম রাজ্য হবে পশ্চিমবঙ্গ, এমনটা দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘কোনোভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কার্যকর হতে দেব না।
মমতা বলেন, নিশ্চিন্তে থাকুন, বাংলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হচ্ছে না। আসুন আমরা সবাই মিলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করি। কারও সঙ্গে কারও ভেদাভেদ নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।