পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আর সবচেয়ে ঘৃণিত নেতা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এ অঞ্চলে তুরস্কের প্রভাব সবচেয়ে বেশি এবং ক্রমবর্ধমান। মার্কিন জরিপ সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে দেখা গেছে, দেশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্কের জনপ্রিয়তা ও প্রভাব সবচেয়ে বেশি ও ক্রমবর্ধমান। মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বৃদ্ধির দিক থেকে তুরস্কের পরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার। বিবিসি টার্কিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিউ রিসার্চের জরিপে দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে লেবাননে এরদোগান সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। দেশটির ৬৬ শতাংশ মানুষ তাকে নেতা হিসেবে পছন্দ করেন। এরপর তিউনিশিয়ার অবস্থান। দেশটির ৫৯ শতাংশ মানুষ এরদোগানের ভক্ত। তবে ইসরাইলবাসীর কাছে এরদোগান সবচেয়ে অপছন্দের ব্যক্তি। তবুও ১৫ শতাংশ ইসরাইলি তার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। গত দশ বছরে মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্কের প্রভাব বেড়েছে ৬৩ শতাংশ, যা একটি রেকর্ড। এর মধ্যে জর্ডানে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ৭৬ শতাংশ। পিউ রিসার্চের মতে, ২০১৪ সালে সর্বশেষ জরিপের চেয়ে এবার তিউনিশীয় নাগরিকদের মধ্যে এরদোগানের প্রতি সমর্থনের হার ১০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ২০১৫ সালের জরিপের চেয়ে জর্ডানে এরদোগানের প্রতি সমর্থন বেড়েছে ৭ শতাংশ। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত নেতা নেতানিয়াহু। তুরস্কের ৭৯ শতাংশ নাগরিক নেতানিয়াহুকে অপছন্দ করেন। মাত্র ৭ শতাংশ তুর্কি নাগরিক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। লেবাননের ৯৯ শতাংশ মানুষ নেতানিয়াহুকে অপছন্দ করেন আর জর্ডানে এই হার ৯৬ শতাংশ। জরিপ মতে, জনপ্রিয়তায় এরদোগানের পরের অবস্থানে রয়েছেন মিসরের স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।