Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহাকে স্ত্রীসহ দুদকে তলব

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ফরিদপুরের সাবেক এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীণা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। আগামীকাল বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে হাজির হতে স¤প্রতি তাদেরকে নোটিস দেয়া হয় বলে দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, সুভাষ সাহা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ ওই নোটিসে তাদের তলব করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হওয়ার সময় তাদের স্থাবর-অস্থাবর মালিকানা সংক্রান্ত দলিলাদি, ব্যাংক হিসাবের শুরু থেকে হালনাগাদ বিবরণী, দায়-দেনা ও আয়ের উৎস সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।
প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৪ অক্টোবর এসপি সুভাষ সাহা ও তার স্ত্রী রীণার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার পর ওইদিনই তাকে ফরিদপুর থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফেরত পাঠায় পুলিশ সদর দপ্তর।
এজাহারে বলা হয়, সুভাষ ও তার স্ত্রীর যৌথ নামে ওয়ান ব্যাংকের তিনটি শাখায় ১৯টি এফডিআরের মাধ্যমে আট কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক। কিন্তু তাদের সর্বশেষ আয়কর বিবরণীতে ওই টাকার কোনো উল্লেখ নেই। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংক বংশাল শাখায় ছয়টি এফডিআরে সুদসহ মোট দুই কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭ টাকা, এলিফ্যান্ট রোড শাখায় একটি এফডিআরে ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২ টাকা এবং যশোর শাখায় ১২টি এফডিআরে পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৮ টাকা রয়েছে ওই দম্পতির নামে। এজাহারে আরও বলা হয়, এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা পুলিশ বিভাগে চাকরি করা অবস্থায় বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এই টাকা উপার্জন করেছেন। এই টাকার উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করেছেন। আসামি রীনা চৌধুরী স্বামীর অর্থ অপরাধ কর্মকান্ড থেকে অর্জিত জেনেও যৌথনামে এফডিআর হিসাবে জমা রেখে এবং তা গোপন করে অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছেন। ######



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতির

২৬ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ