বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাটিরপাড়া কে কে ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল নুর হোসেন ভূইয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, মাসোয়ারা আদায়, নিয়োগ বাণিজ্য, এমপিওভুক্তির কথা বলে শিক্ষকদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎসহ সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, প্রিন্সিপালের চেয়ারে বসে টাকার বিনিময়ে স্কুল শাখায় অস্থায়ী ভিত্তিতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, বিনা কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করে টাকা আদায় ও মাসোয়ারার বিনিময়ে শিক্ষকদের স্কুলের ভেতর কোচিং বাণিজ্যের সুবিধা প্রদান করেন। এছাড়া শিক্ষকদের কাছে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ভাড়া প্রদান, টাকার বিনিময়ে অযোগ্য শিক্ষকদের কাছে ক্লাস বিক্রি, ছাত্রদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং ৬০ জন শিক্ষককে ঋণের বিনিময়ে কম্পিউটার দেয়ার আবেদন নিয়ে টাকা তোলে আত্মসাৎ করেন। কলেজ এমপিওভুক্তির নাম করে ১৫ জন শিক্ষকের নিকট থেকে ৪৫ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎসহ ১৬টি অভিযোগ সংবলিত একটি অভিযোগপত্র নরসিংদী জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগদা অভিযোগ পত্রে বলেছেন, তিনি ৩০ বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন। এত দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রিন্সিপাল নূর হোসেন ভ‚ঁইয়ার মতো দুর্নীতিবাজ প্রিন্সিপালের দেখা পাননি। ২০১৯ সালে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত স্থানীয় আইডিয়াল কোচিংয়ের মালিক আলামিন পাঠান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের জসীমউদ্দীন ও ঝুমুর রানী সাহাকে ৩০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে সম্পূর্ণ জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে এমপিওভুক্ত করান। প্রিন্সিপাল নুর মোহাম্মদ তাদের নিকট থেকে বেতনের ৪০ ভাগ মাসোয়ারা আদায় করে নেন। ৬ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে তিনি তপন কুমার আচার্য, আকলিমা আক্তার ও হিরু মিয়া নামে ৩ জন শিক্ষককে ২য় বারের মতো টাইমস্কেল প্রদান করছেন। বিদ্যালয়ের সকল কেনাকাটা থেকে তাকে ২০ পার্সেন্ট হারে ঘুষ দিতে হচ্ছে। করোনাকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্কুলের ছাত্রদের পরীক্ষা গ্রহণ, ছাত্র বেতন আদায়সহ স্কুলের সার্বিক কার্যক্রম তিনি অব্যাহত রেখেছেন। প্রিন্সিপাল নুর হোসেন ভূঁইয়ার সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
এসব ব্যাপারে প্রিন্সিপাল নুর হোসেন ভূঁইয়ার মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।