Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

গোদাগাড়ীর হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার।

অভিযোগপত্রের অনুলিপি জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকটও জমা দিয়েছেন সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেন নিজের ইচ্ছে মত নিয়মবহির্ভূত ভাবে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে স্কুলের অর্থ নিজের নিকট রেখেছেন। নিজের ইচ্ছে মত মনগড়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা এডহক কমিটি তৈরি করে স্কুল ফান্ডের অর্থ নিজের কাছে রেখেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক নিজেই ২৫ কিলোমিটার দূর থেকে এনে জিয়াউল হক পাখী নামের নিজস্ব ব্যাক্তিকে সভাপতি করে মনগড়া কমিটি তৈরি করে অনিয়ম-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমনকি একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রীদের সামনেই ধুমপান করাসহ ছাত্র ছাত্রীদের সাথে প্রায় সময় কারণে অকারণে অসদাচরণ করেন। এতে করে প্রধান শিক্ষকের এমন অসদাচরণের জন্য ও স্কুলের অর্থ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চলতি মাসের ৮/১২/২০২০ ইং তারিখে নবগঠিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা অভিভাবক সদস্য গোলাম মোস্তফা ও শিক্ষক প্রতিনিধি এনামুল হক নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেনের সাথে কথা বলা হলে তিনি এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়মিত কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় করোনার কারণে ১৭ মার্চ থেকে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সরকারী বিধিমোতাবেক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহী কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছেন। সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ের ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে স্কুল ফান্ডে জমা দিচ্ছেন না, শিক্ষক প্রতিনিধি মৌলভী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদও বিদ্যালয়ের ২০ হাজার টাকা নিয়ে স্কুলের ফান্ডে জমা দিচ্ছেন না। এ সব টাকা ফান্ডে জমা দেয়ার জন্য চাপ দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন সে বিধি ভঙ্গ করে পরপর ৬ বার সভাপতি হয়ে প্রতিষ্ঠানের মোটা অংকের অর্থ লুটপাট করছেন।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী ও স্কুলের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ওই স্কুলের ৬ বারের সভাপতি অথচ কোনদিন সভাপতির দায়িত্ব কি বুঝতে পারিনি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোনদিন কমিটিকে হিসাব নিকাশ নিয়ে বসেন নি, তিনি নিজের ইচ্ছে মত তার ব্যক্তিগত লোক দ্বারা সবকিছুই পরিচালনা করে যাচ্ছেন, তাই সভাপতি থেকে কি করবো, তাই নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি বলে তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে বর্তমান কমিটির সভাপতি জিয়াউল হক পাখী বলেন, তারা বিধিমোতাবেক পদত্যাগ করেন নি, আমি কোন পদত্যাগপত্র পাই নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ