পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর দুর্নীতি দমন আইনের মামলায় অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং সাবেক সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালসহ ৫ জনকে ৭ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত। একই সাথে কামালসহ দুই জনকে ১ কোটি টাকা করে অর্থদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। বিকেলে রায় ঘোষণার পরে সাবেক মেয়রসহ সব আসামিদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০০ সালের ১১ অক্টোবর দুদকের তৎকালীন জেলা কর্মকর্তা বর্তমানে উপ-পরিচালক আব্দুল বাছেত বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। অপর আসামিরা হচ্ছেন- বরিশাল পৌরসভার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইসহাক, পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী এবং বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান মো. নুুরুল ইসলাম, পৌরসভার তৎকালীন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত আব্দুস সত্তার ও নগরীর কালিবড়ি রোডের বাসিন্দা কথিত ঠিকাদার জাকির হোসেন।
সরকারি আইনজীবী মাসুদুল হক খান জানান, বরিশাল পৌরসভা থাকাকালীন তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামাল অপর আসামিদের যোগসাজসে পৌর এলাকায় টেলিফোন শিল্প সংস্থা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত দেখানো হয়। এ জন্য টেলিফোন শিল্প সংস্থার জাল প্যাড সৃষ্টি করে ভুয়া দরপত্র দেখানো হয়। এমনকি ভুয়া ঠিকাদার নিয়োগও দেখান আসামিরা। এর মাধ্যমে আসামিরা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে সড়ক মেরামত বাবদ ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সেখান থেকে সড়ক মেরামত বাবদ খরচ হয় ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭১ টাকা। বাকি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৯ টাকা তারা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে ২০১১ সালে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আব্দুল বাছেত ও সহকারী পরিচালক এমএইচ রহমতুল্লাহ ওই ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক গতকাল মামলার রায় ঘোষণা করেন। সাবেক মেয়র কামালসহ অন্য আসামিদের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
আহসান হাবীব কামাল দীর্ঘদিন অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার, প্রশাসক এবং নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছাড়াও ২০১৩ সালে সিটি মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আর প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।