পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মানুষের ভোটের অধিকার ফেরাতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে রোজার আগেই দেশব্যাপী গণসংযোগ শুরু করা হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি আরো বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে দেশ এখন দুঃশাসন ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। জনগণের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন সামনে অগ্রসর হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের ‘গণতন্ত্র নিখোঁজ’ সংকট থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যের প্রয়োজন। সংকট উত্তরণে জনগণকে ঐক্যমতে আসতে হবে। যাতে সরকার বাধ্য হয় এসব জিনিসগুলো থেকে সরে দাঁড়াতে। এ অবস্থা বিরাজ করলে এখানে আমাদের সুশাসন পাওয়ার কোনও উপায় থাকবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যদি মাঠে না নামি তাহলে এর থেকে উত্তরণ ঘটবে না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, ডিজিটাল আইনের কথা বলে আমাদের যেভাবে বাকস্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে তার থেকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের তান্ডবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে গণফোরামের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এখন থেকে আমরা সারাদেশে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার স্বপ্ন নিয়ে জনগণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জনগণের কাঙ্খিত লক্ষ্যে অর্জন করতে পারেনি। গত অর্ধশতাব্দিতে আমাদের অনেক অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে কিন্তু বৈষম্য কমেনি।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল আরও বলেন, একটি চক্রের মাধ্যমে ব্যাংক লুটপাঠ, শেয়ার বাজার ধ্বংস এবং বিভিন্ন উন্নয়নম‚লক প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে এবং জনগণকে বঞ্চিত করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। যখন আইন প্রণয়নে ও আইনের নিরপেক্ষ প্রয়ােগে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ অনুপস্থিত থাকে তখনই রাষ্ট্রের মালিক ও জনগণ অসহায় হয়ে পড়ে। বর্তমানে যারা নিজেদের নির্বাচিত দাবি করে দেশ শাসন করছে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন নেই। জনবিচ্ছিন্ন এ সরকার জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার অপকৌশল হিসেবে বিভিন্ন কালা কানুন জারি করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তারই অংশ বিশেষ। বস্তুত দেশের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের সমস্বয়ে গড়ে উঠা অশুভ সিন্ডিকেটের কারণে চাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্য ম‚ল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে এবং মুক্ত চিন্তার ওপর আঘাত করা হচ্ছে। এ সময় দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোকাব্বির খান এমপি, দলপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আ হ ম শফিকুল্লাহ, গণফোরাম নেতা মোশতাক আহমেদ, জানে আলম, সুরাইয়া বেগম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।