বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘ ২৫ বছর পর দুর্নীতি দমন আইনের মামলায় অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং সাবেক সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল সহ ৫ জনকে ৭ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত। একই সাথে কামালসহ দুই জনকে ১ কোটি টাকা করে অর্থদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে আসামীদের উপস্থিতিতে স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় ঘোষনা করেন। বিকেলে রায় ঘোষনার পরে সাবেক মেয়র সহ সব আসামীদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০০০ সালের ১১ অক্টোবর দুদক-এর তৎকালীন জেলা কর্মকর্তা বর্তমানে উপ-পরিচালক বাদী আব্দুল বাছেত এ মামলা দায়ের করেন। কামাল ছাড়া অপর আসামীরা হচ্ছেন, বরিশাল পৌরসভার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইস্হাক, পৌরসভার সাবেক সহকারি প্রকৌশলী এবং বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান মো. নুুরুল ইসলাম, পৌরসভার তৎকালীন উপ-সহকারি প্রকৌশলী ও বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত আব্দুস সত্তার ও নগরীর কালিবড়ি রোডের বাসিন্দা কথিত ঠিকাদার জাকির হোসেন।
সরকারি আইনজীবী মাসুদুল হক খান জানান, বরিশাল পৌরসভা থাকাকালীন তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামালসহ অপর আসামীদের যোগসাজসে পৌর এলাকায় টেলিফোন শিল্প সংস্থা থেকে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত দেখান হয়। এ জন্য টেলিফোন শিল্প সংস্থার জাল প্যাড সৃষ্টি করে ভূয়া দরপত্র দেখানো হয়। এমনকি ভূয়া ঠিকাদার নিয়োগও দেখান আসামীরা। এর মাধ্যমে আসামীরা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে সড়ক মেরামত বাবদ ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সেখান থেকে সড়ক মেরামত বাবদ খরচ হয় ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭১ টাকা। বাকী ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৯ টাকা তারা আত্মসাত করেন।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে ২০১১ সালে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক এর উপ-পরিচালক আব্দুল বাছেত ও সহকারি পরিচালক এমএইচ রহমতুল্লাহ ওই ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দেন। ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে বিচারক সোমবার মামলার রায় ঘোষনা করেন।
আহসান হাবীব কামাল দীর্ঘদিন অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার, প্রশাসক এবং নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছাড়াও ২০১৩ সালে সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আর প্রতিদন্ধীতা করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।