পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরবের একজন শাহজাদা বিশে^র সবচেয়ে বেশি মূল্যের ছবি কিনেছেন। বিশ^খ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা ‘সালভাতোর মান্দি’ ( বিশে^র ত্রাণকর্তা) নামের এ চিত্রকর্মটি ৪৫ কোটি ডলারে (৩ হাজার ৭শ’ ৩৫ কোটি টাকা প্রায়) বিক্রি হয়েছে। সউদী শাহজাদার নাম বদর বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ফারহান।
বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ১৫ নভেম্বর নিউইয়র্কে বিশ^বিখ্যাত ক্রিস্টির নিলাম হাউসে নিলামে এ ছবিটি বিক্রি হয়। শাহজাদা বদর এ ছবির রহস্যময় ক্রেতা। দি টাইমস জানায়, সম্পদশালী সউদী শাহী পরিবারের এক দূরবর্তী শাখার এ শাহজাদা সর্বোচ্চ মূল্যে ছবিটি কিনলেও বড় ধরনের চিত্র সংগ্রাহক হিসেবে বা বিপুল সম্পদের অধিকারী হিসেবে তার পরিচিতি নেই।
নিলামকারীর আর্থিক সামর্থের প্রমাণ হিসেবে শাহজাদা যথারীতি ১০ কোটি ডলার জমা দেন। ছবি বিক্রি হওয়ার আগে শাহজাদা বদর ও তার অর্থের উৎস চিহ্নিত করার জন্য ক্রিস্টির প্রতিনিধি চেষ্টা করেন। আরো তথ্যের জন্য চাপ দেয়া হলে শাহজাদা চাঁছাছোলা জবাব দেন। তিনি বলেন যে তিনি রিয়েল স্টেট ব্যবসা করেন এবং সউদী আরবের ৫ হাজার শাহজাদার একজন।
শাহজাদা বদর সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন বন্ধু ও সহযোগী বলে খবরে বলা হয়েছে। যুবরাজ গত ৪ নভেম্বর দেশে ব্যাপক দুর্নীতি দমন অভিযান চালিয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ ঘুষ গ্রহণ, তছরূপ ও আত্মসাতের অভিযোগে ২শ’রও বেশি শাহজাদা, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, সরকারী কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীকে আটক করেন। দুর্নীতি দমন অভিযানের দু’সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্যে ছবিটি কেনা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে যে যুবরাজ বাছাই করা লোকদের টার্গেট করছেন কিনা।
যদিও শাহজাদা বদর বিশদ ব্যাখ্যার জন্য টাইমসের অনুরোধে সাড়া দেননি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির লুভর ইন আবুধাবি জাদুঘর বুধবার এক টুইটে জানায় যে সালভাতোর মান্দি সেখানেই যাচ্ছে। লুভর ইন আবুধাবি ফ্রান্সের বিশ^বিখ্যাত লুভর মিউজিয়ামের শাখা।
‘সালভাতোর মান্দি’ ছবিটি ২৬ ইঞ্চি দীর্ঘ এবং ১৫০০ সালের দিকে আঁকা। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির যে ২০টিরও কম চিত্রকর্ম এখনো আছে এ ছবিটি সেগুলোরই একটি।
জানা যায়, ছবিটির মূল্য ৪৫ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৫শ’ ডলার হলেও ছবির মূল মূল্য ৪০ কোটি ডলার । বাকি অর্থ ক্রেতার তরফ থেকে প্রদেয় অতিরিক্ত ফি। এদিকে ছবির মূল্য অত্যধিক বেশি হওয়ায় মোট ৬ কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধের ব্যাপারে শাহজাদা বদর ও ক্রিস্টির মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।