পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারতের আসাম প্রদেশে মুসলিম নাগরিকত্ব মামলায় মুসলমানদের পক্ষে রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে প্রায় ৫০ লাখ মুসলিম নারীর নাগরিকত্ব নিয়ে যে ভয়ংকর আশঙ্কা তৈরী হয়েছিলে তা আর থাকলো না। আসাম নাগরিকত্ব মামলায় ২টি বিষয় আদালতে বিচারাধীন ছিলো। এক, আসাম সরকার বলে আসছিলো যে, নাগরিকত্বের জন্য পঞ্চায়েত সার্টিফিকেট যথেষ্ট নয়। আদালত একে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। দ্বিতীয় বিষয় ছিলো, আসামের মুসলিমরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে। এটাও আদালতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। গত মঙ্গলবার আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভারতে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক’ বলতে কোনো পরিভাষা নেই। আসামে এক নতুন আইনে মুসলিম নাগরিকত্ব নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিলে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ (এম) শুরুতেই আইনিভাবে লড়াই শুরু করে। পরবর্তীতে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানির নেতৃত্বাধীন জমিয়তও আদালতে আপিল করে দুই জমিয়ত এক সঙ্গে কাজ করে। মামলা চলাকালেই দিল্লিতে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানির এক সেমিনারে আসামের মুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে- এমন বক্তব্যে পুরো ভারতে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি আসামসহ বিভিন্ন জায়াগায় আরশাদ মাদানির বিরুদ্ধে ‘এফআইআর’ও দাখিল করা হয়। মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি, জমিয়ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ আসআদ মাদানি ও আসামের পার্লামেন্ট সদস্য মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল বলেছেন, এ মামলার বিজয় ঐতিহাসিক। এনডিটিভি, পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।