পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে, বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা মহানবী (সা.) এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করে সারা ভারতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে নূপুরকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছে। অথচ, বাংলাদেশের একটি মহল নূপুরের এই চরম গর্হিত কাজের নিন্দা তো জানায়নি, বরং মফস্বলের এক ছাত্রের নূপুর শর্মাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করার বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্যও দেয়নি। এর মাধ্যমে ঐ মহলটি প্রকারান্তরে নূপুরের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। বাংলাদেশের ঐ ছাত্রের সমর্থনকে কেন্দ্র করে ঐ চিহ্নিত মহলটি সমগ্র বিষয়কে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলতে চাইনি। কিন্তু যখন দেখি যে ওরা ঐ ঘটনার মূলে যায়নি, বরং ঘটনার ফলোআপকে কেন্দ্র করে একটি রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে তখন দুটো কথা না বলে পারলাম না। তারা যদি ঐ ছাত্র এবং শিক্ষকের ভূমিকার নিন্দা করতেন এবং সাথে সাথে শিক্ষক অবমাননার প্রতিবাদ জানাতেন, তাহলে ব্যাপারটি ইনসাফের দিক দিয়ে সঠিক হতো। এরা ভারতপ্রেমী। কিন্তু ভারতের ভালো দিকটি এরা কোনো সময় আমলে নেয় না।
দিল্লীতে নূপুর সম্পর্কিত শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট দিল্লী পুলিশ ও বিতর্কের আয়োজক টেলিভিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘দিল্লী পুলিশ কি ভূমিকা পালন করেছেন? আমাদের মুখ খুলতে বাধ্য করবেন না। কেনো ঐ বিষয় নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছিল? সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেন, ঐ বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছিল কি একটি ইস্যুকে উস্কে দিতে? কেন তারা একটি বিচারাধীন বিষয়কে বিতর্কের জন্য নির্ধারণ করেছিল?’
সুপ্রিম কোর্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলকে ছেড়েও কথা বলেননি। ক্ষমতাসীন দলের প্রতি ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ‘যখন আপনারা অন্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন, তখন যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় তারা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার হয়। যখন সেটা আপনার বিরুদ্ধে যায়, তখন আর কেউ আপনাদের স্পর্শ করার সাহস পায় না। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, তিনি (নূপুর) যদি একটি দলের মুখপাত্র হন তবে যা হবার তাই হয়েছে।’
এখন সময় এসেছে কিছু চরম সত্য কথা বলার। ভারতের যেগুলো ভালো সেগুলোর প্রসংশা আমরা সব সময়ই করবো। যেগুলো খারাপ সেগুলোর সমালোচনা এবং নিন্দা সব সময়ই করবো। ভারত একটি বিশাল দেশ। ২৯টি রাজ্য ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। এই দেশে অসংখ্য নৃতাত্ত্বিক জাতি রয়েছে। প্রতিটি নৃতাত্ত্বিক জাতির রয়েছে স্বতন্ত্র ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি। ভারতের রয়েছে হাজার বছরেরও বেশি কালের ইতিহাস। এই সহস্র বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি নিয়েই ভারত গঠিত। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়ে দুটি রাষ্ট্র হয়। একটি পাকিস্তান। আরেকটি ভারত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙ্গে দুটি রাষ্ট্র হয়। একটি বাংলাদেশ। আরেকটি পাকিস্তান। সোজা কথায় ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ৭৫ বছরে ভারত ভেঙ্গে তিনটি রাষ্ট্র হয়েছে। তারপরেও যেটি ভারত তার রয়েছে বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক এবং ধর্মীয় জাতি গোষ্ঠির সংমিশ্রণ। এই সব মিলিয়েই ভারত।
কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে। হিন্দুস্তান মানেই কিন্তু হিন্দু রাষ্ট্র নয়। গোটা সিন্ধু সভ্যতা, হিন্দুকুশপর্বত প্রভৃতি মিলিয়ে নাম হয়েছিল হিন্দুস্তান। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো এই যে মোঘল শাসকরা ইন্ডিয়াকে বলতেন হিন্দুস্তান। মোঘল শাসকরা তো সকলেই ছিলেন মুসলমান। হিন্দুস্তান মানেই যদি হিন্দু রাষ্ট্র হতো তাহলে সম্রাট বাবর থেকে সম্রাট আওরঙ্গজেব পর্যন্ত সকল মুসলিম শাসক ইন্ডিয়াকে হিন্দুস্তান বলতেন না।
॥দুই॥
আমরা কিছুক্ষণ আগেই বলেছি যে ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সব ধর্ম বর্ণ এবং জাতিগোষ্ঠির সংমিশ্রণেই ভারত রাষ্ট্র এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদ গঠিত। এই বিষয়টি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বর্ণনা করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ পশ্চিম বঙ্গ তথা ভারতের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব অমর্ত্য সেন। অমর্ত্য সেনের এসম্পর্কিত দুটি মন্তব্য নিম্নে উদ্ধৃত করছি। একস্থানে তিনি বলেছেন, ‘সম্রাট শাহজাহানের পুত্র দারাশিকো হিন্দুদের উপনিষদ ফার্সিতে অনুবাদ করেছিলেন। সেই ফারসি অনুবাদ চলে যায় জার্মানিতে। ম্যাক্স মুলার জার্মানি থেকে সেটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। আর যেহেতু ইউরোপের অধিকাংশই ইংরেজি জানেন তাই ইংরেজি অনুবাদের মাধ্যমে উপনিষদ ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশে^।’ দারাশিকো ছিলেন মুসলমান। অথচ, এই মুসলমানই উপনিষদ ফারসিতে অনুবাদ করেন। এই সেই উপনিষদ, যার দর্শন দ্বারা রবীন্দ্রনাথ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং তার অসংখ্য গান ও কবিতায় উপনিষদের ছায়াপাত ঘটেছে। এখানে রবীন্দ্রনাথ কোনো সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নেননি। বরং তার লেখাতে আমরা পাই, ‘সীমার মাঝে অসীম তুমি/ বাজাও আপন সুর’।
অন্যত্র অমর্ত্য সেন আরেকটি তথ্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘ইরানের পন্ডিত আল বিরুনীর ১০১০ সালের লেখা ভারতের ইতিহাস। এই একটি গ্রন্থ, যেটি ভালভাবে পাঠ করলে ভারতকে বুঝতে সুবিধা হয়। এই গ্রন্থটি আমাকেও (অমর্ত্য সেনকেও) ভারত সম্পর্কে কমপ্লিট ধারণা দিতে সাহায্য করেছে।’ এরপর এই নোবেল বিজয়ী দিয়েছেন তার ঐতিহাসিক রায়, ‘ভারতের ইতিহাস বিষয়ে আমি যতগুলি গ্রন্থ পড়েছি তারমধ্যে আল বিরুনীর এই ইতিহাস শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ।’ লক্ষ করুন, আল বিরুনীও মুসলমান। কাজেই আজ হিন্দু ছাড়া অন্যান্য শাসনামল, যেগুলো শত শত বছর ধরে বিস্তৃত, তাদের অবদানকে পাশ কাটিয়ে আজ ভারতে শুধুমাত্র হিন্দুত্বের ধ্বজা ধরলে সেটা হবে ইতিহাসের চরম বিকৃতি। দুঃখের বিষয়, আরএসএসের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ) মোহন ভগত, বিজেপির নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ্ এবং যোগী আদিত্যনাথ সেই ভারতের সঠিক ইতিহাসকে দুমড়ে মুচড়ে বিকৃত করার কাজে উঠে পড়ে লেগেছেন। কীভাবে তারা ভারতকে তার মূল পথ থেকে দূরে সরে নিয়ে বিকৃত করছেন তার বিবরণ পাওয়া যায় বিশ^ বিখ্যাত লেখিকা, কলামিস্ট এবং অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায়ের লেখার ছত্রে ছত্রে। অরুন্ধতী রায়ের লেখা সম্পর্কে কিছুক্ষণ পর আমরা আলোচনা করবো। তার আগে বাংলাদেশের একটি অশুভ উদ্যোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
গত ১ জুলাই শুক্রবার ‘দৈনিক সমকালের’ দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির দুই এমপি ফখরুল ইমাম এবং কাজী ফিরোজ রশিদ বক্তৃতাকালে এসব প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন এবং তথ্য দিয়েছেন। ফখরুল ইমাম বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্য বইয়ে একটি ধর্মগ্রন্থকে বাদ নিয়ে অন্য একটি ধর্মগ্রন্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সংস্কৃতি বদলের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এগুলো কিসের আলামত? ফখরুল ইমাম আরো জানান, পাঠ্য পুস্তক থেকে ‘সবাই মিলে কাজ করি’ শিরোনামে মহানবীর (সা.) সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণিতে ‘খলিফা আবু বকর’ শিরোনামে সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে ‘খলিফা হযরত ওমরের’ সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণিতে ‘বিদায় হজ্জ’ শিরোনামে একটি রচনা ছিল। সেটিও বাদ দেওয়া হয়েছে।
॥তিন॥
ফখরুল ইমাম বলেন, পক্ষান্তরে পঞ্চম শ্রেণিতে ‘বই’ নামে একটি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কবিতা আমাদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের বিরোধী। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ‘লাল গরু’ নামে একটি ছোট গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ছোট গল্পের সারাংশ হলো, ‘গরু হচ্ছে মায়ের মতো। তাই গরু জবাই করা ঠিক নয়।’ এই স্থানে ফখরুল ইমাম সরাসরি বলেছেন যে এসব করে হিন্দুত্ব আমদানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের ‘লালু’ নামক একটি গল্প ঢোকানো হয়েছে। এই গল্পে শেখানো হয়েছে হিন্দুদের কালী পূজা ও পাঠা বলীর কাহিনী। অষ্টম শ্রেণির বইয়ে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ অর্থাৎ রামায়নের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এসব কিসের আলামত?
ফখরুল ইমামের পর বক্তব্য দিতে ওঠেন জাতীয় পার্টির আরেকজন এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ। তিনি বলেন, ‘মেয়েরা বোরখা পরে মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে। তাদেরকে তো ইসলামী ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। একজন কোরআনের হাফেজ হতে গেলে মিনিমাম ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে হয়। এটা ধর্মীয় শিক্ষা। এখানে তো খোঁচা মারার কোনো দরকার নাই। আধুনিক শিক্ষা দিবেন, দিন। কিন্তু হাফ প্যান্ট আর গেঞ্জী পরিয়ে ছেড়ে দেবেন, সেটা তো এদেশে হবে না। এগুলো বাদ দিয়ে প্রকৃত শিক্ষায় আসুন।’
কাজী ফিরোজ রশিদ কোনো রাখঢাক না করে স্পষ্ট বলেন, ‘বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে মেয়েদের হাতে সিগারেট দেখা যায়। হাতে কাপ আর সিগারেট। ছেলে মেয়ে হাত ধরাধরি করে হাঁটাহাঁটি করছে আর সিগারেট খাচ্ছে। এটা কোন সংস্কৃতিতে পড়ে? কোন শিক্ষায় পড়ে? শুধু শিক্ষার মান নয়, নৈতিকতাও কমেছে।’
প্রিয় পাঠক, আমরা ওপরে ফখরুল ইমাম এবং কাজী ফিরোজ রশিদের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরেছি। এগুলো আমাদের বা ইনকিলাবের বক্তব্য নয়। দৈনিক সমকাল ১ জুলাই যা ছেপেছে সেটি আমরা হুবহু তুলে ধরেছি। কাজী ফিরোজ রশিদ ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ করতেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কাজী ফিরোজ রশিদকে আর যাই বলা হোক না কেন, মওলানা, মৌলবাদী বা সাম্প্রদায়িক কোনো অবস্থাতেই বলা যাবে না। বরং ছাত্রলীগের সংস্পর্শে থাকার কারণে তিনি বহুবার মৌলবাদের বিরোধিতা করেছেন এবং অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে কথা বলেছেন। অনুরূপভাবে ফখরুল ইমাম সাহেবও কোনো মওলানা বা মৌলভি সাহেব নন। তাদের মুখ দিয়েও এখন এই ধরনের কথাবার্তা বের হচ্ছে এবং সেটিও জাতীয় সংসদের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে তারা বলছেন। সেদিন সুদূর নয় যেদিন হাতে গোনা কয়েকজন চিহ্নিত কট্টর ভারতপ্রেমী ছাড়া সকলকেই ফখরুল ইমাম এবং ফিরোজ রশিদের উক্তির প্রতিধ্বনি করতে হবে।
এখানে একটি কথা খুব স্পষ্ট বলতে চাই। আমরা যতই বাংলা এবং বাঙালি বলি না কেন, আমাদের ঐধারেও তো একটি বাংলা রয়েছে। ঐ বাংলার সাথে এই বাংলার তফাৎ টা কী? তফাৎ হলো ঐ সীমান্ত। সীমান্ত রেখা টানা হয়েছে ১৯৪৭ সালে। আর সেটার ভিত্তি ছিল হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠতা এবং মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠতা।
প্রিয় পাঠক, অরুন্ধতী রায় আমার প্রিয় লেখিকা। আজ তার রচনা থেকে কিছু কিছু উদ্ধৃতি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থান সংকুলান হলো না। তিনি তো উত্তর প্রদেশে বেছে বেছে মুসলমানদের বাড়ি ঘর বুল্ডোজার দিয়ে ধ্বংস করার ঘটনা উল্লেখ করেছেন। শুধু সেগুলোই নয়। আরো অনেক মূল্যবান বক্তব্য দিয়েছেন। এগুলো নিয়ে বারান্তরে আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে আমার ইচ্ছা আছে, বাংলাদেশকে নিয়ে কিছু মৌলিক প্রশ্নের অবতারণা করা। কারণ বাংলাদেশকে তার সঠিক পরিচয় চিহ্নিত করার জন্য এগুলোর প্রয়োজন আছে।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।