মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিমদের সাংবিধানিক অধিকার পর্যায়ক্রমে এফবিআই লঙ্ঘন করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের অভিযোগ। কিন্তু এফবিআই যেহেতু গোপনীয়তা নিয়ে কাজ করে, তাই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সাহস দেখাননি অনেকে। তবে তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার তিন মুসলিম।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই মুসলিমদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে নজরদারি করছে। এ অভিযোগে ক্যালিফোর্নিয়ার তিনজন মুসলিমের দায়ের করা মামলার শুনানি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। ওই তিন মুসলিম দাবি করেছেন, এর মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করেছে এফবিআই। কিন্তু এ মামলার বিরোধিতা করেছে এফবিআই। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আদালত এই মামলা সামনের দিকে অগ্রসর হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য শুনানি করেছে।
এফবিআই’র দাবি, ধর্মীয় বৈষম্যের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। কারণ, তাতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে পড়বে। মার্কিন সরকারেরও দাবি গোপনীয়তা বজায় রেখে এফবিআইকে তার কাজ অব্যাহত রাখতে দেয়া উচিত। সোমবার সরকারের এমন যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের রক্ষণশীল বিচারপতি নিল গরসাস।
২০০৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ১৪ মাসব্যাপী গ্রেইগ মন্টেইল’কে ইনফর্মার হিসেবে অর্থ দিয়েছে এফবিআই। তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, ৯/১১ পরবর্তীতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মুসলিমদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে। মন্টেইল ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে মুসলিম নাম ধারণ করেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে মুসলিমদের সঙ্গে দহরম মহরম গড়ে তোলেন। এ সময়েই তিনি মুসলিমদের কথোপকথন রেকর্ড করেন এবং তাদের চালচলনে নজরদারি চালান।
এ জন্য মিশন ভিয়েজো’তে অবস্থিত অরেঞ্জ কাউন্টি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম শেখ ইয়াসির ফাজাগা, ক্যালিফোর্নিয়ার ইরভিনে অবস্থিত ইসলামিক সেন্টার অব ইরভিনের দুই মুসল্লি আলি উদ্দিন মালিক ও ইয়াসের আব্দেল রহিম এই মামলা করেন। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও অন্যান্য স্থান থেকে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন তারা। অভিযোগ করেছেন ধর্মীয় বৈষম্য ও তাদের অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে। তারা বলেছেন, আরও শত শত মানুষের বিরুদ্ধে তাদের ধর্মের কারণে এভাবে গোয়েন্দাগিরি চালানো হয়েছে।
এই মামলাটি চলমান অবস্থায় রাখলে তার ফলে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে পড়তে পারে, এমন যুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট মামলাটি খারিজ করে দেন। কিন্তু সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত নাইথ ইউএস সার্কিট কোর্ট অব আপিলসে ২০১৯ সালে কোর্টের ওই সিদ্ধান্ত উল্টে দেয়। বলা হয়, নিম্ন আদালত শুধু সরকারের বক্তব্য আমলে নিয়েছে। তাদেরকে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা প্রয়োজন। সূত্র: আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।