মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পোপ ফ্রান্সিস গতকাল মিয়ানমার সফর করেেেছন। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর জাতিগত নিধনে অভিযোগে বিশ্বজুড়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়া বৌদ্ধ প্রধান এই দেশটিতে তার এই সফর অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইয়াংগন বিমানবন্দরে ক্যাথলিকরা ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল জাতিগত পোশাক পরে পতাকা নেড়ে ও নৃত্য করে আনন্দঘণ পরিবেশে এই প্রথমবারের মত দেশটি সফরে আসা পোপকে উষ্ণ অভিবাদন জানায়। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধন চালানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এই সফর করছেন। গত তিন মাসে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে ৬ লাখ ২০ হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গা মুসলমান প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
পোপের চারদিনের এই সফর রাষ্ট্রহীন সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণের বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর যে চাপ রয়েছে তা তীব্রতর করবে। তার বক্তব্য রক্ষণশীল বৌদ্ধদের কাছে সমালোচিত হতে পারে। কারণ তারা ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি বলতেই নারাজ। তারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অবৈধ অভিবাসী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে। ফ্রান্সিস মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সাং সু কি এবং সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হাইং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে মিয়ানমারে উগ্র বৌদ্ধদের এক সংগঠনের পক্ষ থেকে সফররত পোপ ফ্রান্সিসকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে ‘স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে বিপন্ন ওই জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে কোনও কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে ক্যাথলিক ওই ধর্মগুরুকে। মিয়ানমারের জঙ্গি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠন মা বা থা পোপ ফ্রান্সিসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কথা বললে তা মেনে নেওয়া হবে না।
তিন দিনের মিয়ানমার সফরের অংশ হিসেবে সোমবার ইয়াঙ্গুনে পৌঁছান ভ্যাটিকান পোপ ফ্রান্সিস। সফরের সময় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ না করার জন্য পোপের প্রতি আগেই আহŸান জানিয়েছেন মিয়ানমারের কার্ডিনাল চার্লস মং বো।
লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রোহিঙ্গা শব্দ উচ্চারণে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির সেনাবাহিনীর আপত্তি থাকায় কার্ডিনাল চার্লস মং বো পোপকে তা উচ্চারণ করতে নিষেধ করেছেন।
সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের জঙ্গি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠন মা বা থা’র মুখপাত্র তপারকা রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, মিয়ানমারের জনগণ মেনে নিতে পারবে না এমন কোনও স্পর্শকাতর ইস্যুতে তিনি (পোপ) কথা বলবেন না। তিনি যদি ইসলাম নিয়ে কথা বলেন সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু তিনি যদি রোহিঙ্গা এবং চরমপন্থীদের নিয়ে কথা বলেন তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
উল্লেখ্য, এ বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনের ভয়াবহতায় তাদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। বলেছিলেন, ঈশ্বরের কাছে আমরা সবাই প্রার্থনা করি তিনি যেন তাদের সুরক্ষিত রাখেন। তাদের সাহায্যে বাকিদের এগিয়ে আসতে বলেন; যারা তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে। এবার এক ভিডিও বার্তায় পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, এমন সম্মান ও উৎসাহের জায়গা থেকে আমি দেশটি সফর করতে চাই যেখানে ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতি পারস্পরিক মেলবন্ধন ও সহযোগিতার প্রচেষ্টা বিদ্যমান থাকবে। সূত্র : লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস ও এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।