পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ব্লগাররা লেখনীর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে এবং জঙ্গিরা মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ভয়াবহ ক্ষতি করছে। জঙ্গিরা মানবতার ওপর আঘাত হানে আর ব্লগাররা ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে। কোনো জঙ্গিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পুলিশকে তথ্য না দিয়ে বলে, আমাকে মেরে ফেলেন, আমি জান্নাতে যাব।
যে কারণে জঙ্গিদের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি দৈনিক পত্রিকার ১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস দমন : কমিউনিটি পুলিশিং ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, একটি দেশে অন্য কোনো ধর্মের মানুষ থাকতে পারবে না, এটি অপপ্রচার। ইসলামী ব্যক্তি, আলেম সমাজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, তরুণ জঙ্গিদের এমনভাবে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে যে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
কোনো জঙ্গিকে আটক করলে বলে, আমাকে মেরে ফেলেন। আমি জান্নাতে যাব। তাদের হত্যা করার জন্য বলে। কারণ তারা বিশ্বাস করে মৃত্যুর পর বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়াই তারা সরাসরি জান্নাতে চলে যাবে। জঙ্গিরা ইসলাম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে না। কোনোদিন কোরানও পড়েনি। ৪০টা সুরা থেকে একটি করে আয়াত মুখস্থ করে জিহাদ শুরু করে দেয়। অথচ তারা জানতে চায় না এসব আয়াতের শানে নুযুল কী? কোন প্রেক্ষাপটে এসব আয়াত নাজিল হয়েছিল?
আইজপি বলেন, ব্লগাররা ধর্মের ও জঙ্গিরা মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ভয়াবহ ক্ষতি করছে। ব্লগাররা লেখনীর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে এবং জঙ্গিরা মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ভয়াবহ ক্ষতি করছে। তরুণদের বহুমুখী বিকাশ হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত মুক্তচিন্তা করে তারা বিপদও ডেকে আনছে। মুক্তচিন্তা করতে গিয়ে ব্লগাররা ইসলামের বিরুদ্ধে এমনভাবে সব কথা বলছে যা মুখে উচ্চারণ করা যায় না। জঙ্গিরা খেলাফত ও শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা করতে দেশে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গিরা বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বাস করে না। তারা মানুষ হত্যা করে ইসলাসী শাসন ব্যবস্থা চালু করতে চায়। জঙ্গি উত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারা আইএস সৃষ্টি করেছে? কারা এদের অর্থায়ন করে বা কারা অস্ত্রের চালান দেয়, আমরা তা জানি। মুসলমানকে দিয়ে মুসলমান হত্যার মদদদাতা কারা তা সবাই জানে। এখন আবার তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, কয়টি রাজনৈতিক দল বসে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুললেই কি জঙ্গিবাদ নির্মূল করা যাবে? জঙ্গিবাদ নির্মূলে দরকার সামাজিক আন্দোলন।
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার পরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। জঙ্গিবাদ কোনো স্থানীয় সমস্যা নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। যে যে অবস্থানে আছেন, সেখান থেকে জঙ্গিদের প্রতিহত করতে হবে।
সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী ও ব্লগার হত্যায় সন্দেহভাজন চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে, এ কথা পুনরায় দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন আইজিপি একেএম শহীদুল হক। তিনি বলেন, তামিম ও জিয়া যেখানেই থাকুক, কেউ দেখলে বা সন্ধান পেলে সরাসরি পুলিশকে জানান। প্রয়োজনে তার (আইজিপি) সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন। তথ্যদাতাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এমনকি পরিচয় গোপন রাখা হবে।
আমার কাগজ নামে দৈনিক পত্রিকার ১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই আলোচনা সভায় আরো অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, একুশে টিভির নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।