পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার :
জঙ্গিরা প্রধানত দুটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, জঙ্গিদের প্রথম লক্ষ্য হলো সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও আবহ তৈরি করা। আর দ্বিতীয়টি আমাদের দেশের জঙ্গিবাদকে আন্তর্জাতিক করণের প্রচেষ্টা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভূমি সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং আদিবাসীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক ‘আদিবাসী’ দিবস উপলক্ষে আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটি এ সেমিনার আয়োজন করে। ‘ভূমি সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং আদিবাসীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, সাবেক তথ্য কমিশনার ড. সাদেকা হালিম, অর্থনীতির গবেষক ড. স্বপন আদনান, ‘নিজেরা করি’ সংগঠনের চেয়ারপারসন খুশী কবির, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) প্রমুখ।
দেশে শুধু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নয়, মুসলমানও হত্যা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে রাশেদ খান মেনন বলেন, একটা সাম্প্রদায়িক আবহ তৈরি হচ্ছে। আর এ হত্যাকা-গুলোকে বা এদেশের জঙ্গিবাদকে আন্তর্জাতিক করণের একটা প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমাদের এ জায়গাটায় লক্ষ করতে হবে যে, জঙ্গিবাদকে আন্তর্জাতিক করণের একটা প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এ দুটি বিষয় মাথায় রেখে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে হবে। সমাজ এবং রাষ্ট্রে জঙ্গিবাদের যে করাল আঘাত এসেছে তার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, আমাদের অবশ্যই গণমুখী সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। যেন এদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার না হয়, সেজন্য একটি গণমুখী সরকার বিশেষ প্রয়োজন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বাংলার মাটিতে কোনো জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেন, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া মানুষ স্বাধীনভাবে চিন্তা-ভাবনা করে জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিতে পারেছে না। দেশে গণমুখী শাসন ব্যবস্থা থাকলে দেশে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারত না। তিনি বলেন, যেখানে ধর্ম সেখানেই ধর্মের ভেদাভেদ থাকবে। এখানে ধর্ম রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। গোটা জাতীয় জীবনের নির্মম বাস্তবতা মোকাবিলায় ধর্মকে ধর্মের জায়গায় থাকতে দিতে হবে।
সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।