পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো: শামসুল আলম খান : জঙ্গি মোস্তফা কামাল ও তার সহযোগীদের কাছে তিনি পরিচিত ‘বড় ভাই’ নামে। গাজীপুরের টঙ্গিতে প্রিজনভ্যানে ককটেল ছুঁড়ে নিষিদ্ধ হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজিবি) প্রধান মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগীদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই কথিত ‘বড় ভাই’।
তবে জঙ্গিদের এ ‘বড় ভাই’ সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাদেরকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে জেহাদী বয়ান, পরিকল্পনা সবই করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ওই রহস্যময় ‘বড় ভাই’র নাম বা পরিচয় জানাতে পারেনি টঙ্গির ঘটনায় পুলিশের কাছে হাতেনাতে আটক ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মোস্তফা কামাল (২২)। জিজ্ঞাসাবাদে টঙ্গি মডেল থানা পুলিশকে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য দিয়েছে মোস্তফা কামাল নিজেই। ইনকিলাবের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, নরসিংদীর শেখের চরের জামিয়া এমদাদিয়া মাদ্রাসা থেকে ছুটি হবার পর বাড়ি না ফিরে মোস্তফা কামাল বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ময়মনসিংহ, ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে।
ঘটনার দিন সোমবার সকালে মোস্তফা কামালকে ময়মনসিংহের রেল স্টেশনের সামনে থেকে একটি নোয়া গাড়িতে করে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একই গাড়িতে গাজীপুরের মাওনা থেকে আরো দু’জনকে উঠানো হয়।
সূত্র জানায়, মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগীদের ছিনিয়ে নিতে বেশ কয়েকদিন আশপাশ এলাকায় রেকি করে জঙ্গিরা। তবে ঘটনার পরিকল্পনা ও হামলার ছক সাজানো হয় বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে। পুলিশের ধারণা, জঙ্গিদের কাছে কথিত ‘বড় ভাই’ হিসেবে পরিচিত ওই ব্যক্তি ধরা পড়লেই পুরো বিষয়টি খোলাসা হবে।
সূত্র মতে, প্রিজনভ্যানে হামলার আগে সকালেই গাজীপুরের একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা খায় তারা। দুপুরে একটি মাদ্রাসায় তারা জোহরের নামাজ আদায় করে। এরপর তাদেরকে আরো জেহাদী জ্ঞান দেয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা কামাল পুলিশকে জানিয়েছে, ককটেল ভর্তি ব্যাগ আসে আরেকটি গাড়িতে। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে মোস্তফা কামালের হাতে সেই ব্যাগটি তুলে দেয় নরসিংদী থেকে আটক সহযোগী মিনহাজুল ওরফে সবুজ। এবং তাকে বলে তোমাকে ইতোপূর্বে প্রশিক্ষণে ‘বড় ভাই’ যা শিখানো হয়েছিল আজ তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে কামাল বার বার জানিয়েছে সে আগে থেকে জানতো না তাকেই ককটেল ছুঁড়ে মারার কাজটি করতে হবে। তাকে ঘটনার আগেভাগে বলা হয় ব্যাগে থাকা জিনিস সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
এসব বিষয়ে টঙ্গি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, জঙ্গি মোস্তফা কামালের কথিত ওই বড় ভাইকে আমরা খুঁজছি। যে কোন সময় তাকে গ্রেফতার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।