পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হযরত নূহ (আ:)-এর উপর ফযল ও এহসানের দিনের স্মরণের দ্বারা প্রমাণ প্রতিষ্ঠা :
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (১৬৪-২৪১ হি:) এবং হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (৭৭৩-৮৫২ হি:) হযরত আবু হুরায়রা (রাধ হতে একটি হাদীস বয়ান করেছেন। যেখানে আশুরার দিন উদযাপনের এই দিকটিও বর্ণনা করা হয়েছে যে, আশুরা হযরত নূহ (আ:) এবং তাঁর সাথীদের উপর ফযল ও পুরস্কার লাভের দিন ছিল। ওই দিনে ‘জুদী’ পাহাড়ের উপর হেফাজতের সাথে তাদের হাজাহ নোঙ্গর ফেলেছিল। এ জন্য হযরত নূহ (আ:)-এর অনুসারীরা এই দিনকে শোকর গুজারীর দিন হিসেবে উদযাপন করতে লাগলেন। আর এই দিন পরবর্তীকালে আগমনকারীদের জন্য ও সম্মানিত হওয়ার দিনের মর্যাদা লাভের গৌরব অর্জন করল। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত আছে যে, যখন হুজুর নবী আকরাম (সা:) ইহুদীদেরকে আশুরার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, তখন তারা বনী ই¯্রাঈলের স্বাধীনতা, মুক্তি এবং ফেরাউনের সলিল সমাধির বর্ণনা করার পর বলল, এটা ঐ দিন, যে দিন ‘জুদী’ পাহাড়ের উপর কিসতী থেমে ছিল। হযরত নূহ (আ:) এবং হযরত মূসা (আ:) আল্লাহতায়ালার শোকর গুজারীকল্পে ঐদিন রোজা রেখেছিলেন। একথা শুনে হুজুর নবী আকরাম (সা:) বললেন, আমি হযরত মূসা (আ.)-এর অধিক হকদার এবং আমি সেদিন রোজা রাখার অধিক হক সংরক্ষণকারী। তারপর তিনি সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কেও সেদিন রোজা রাখার হুকুম দিলেন। [(ক) আহমাদ বিন হাম্বল : আল মুসনাদ, খন্ড-২, পৃষ্টা-৩৫৯, ৩৬০, বর্ণনা সংখ্যা-৮৭০২, (খ) আসকালীন : ফাতহুল বারী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-২৪৭]
আদমে ছানী হযরত নূহ (আ:)-এর সূত্রে আশুরার দিনের গুরুত্ব আরও বর্ধিত হয়ে যায়। হযরত নূহ (আ.) এবং তাঁর উপর বিশ্বাসীদের স্থায়িত্ব ও টিকে থাকা মূলত : গোটা মানবতার স্থায়িত্ব এবং মানব প্রজন্মের বৃদ্ধির ভিত্তির বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সেদিনকে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেরা স্মরণ রেখেছে এবং আল্লাহপাকের দরবারে সর্বদা এর শোকর আদায় করেছে। এর দ্বারা এই নীতি ও আদর্শ সম্মুখে এসে গেছে যে, প্রত্যেক সে সব ঘটনা, যাতে মুমীনিনদের সামগ্রিক নাজাত, মুক্তি, আযাদী এবং স্থায়িত্বের সাথে সংযুক্ত রয়েছে এগুলোর উপর শোকর গুজারী করা এবং খুশী ও আনন্দ প্রকাশ করা ইসলামী কৃষ্টি ও সভ্যতার আলামত হয়ে রয়েছে। সুতরাং সরকারে দো-আলম রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সৌভাগ্যপূর্ণ বেলাদতের দিনটিও কেয়ামত পর্যন্ত ঈমানদারদের নিকট ঈদের দিন হিসেবে বরিত ও গৃহীত হতে থাকবে। এতে সন্দেহের কোনই অবকাশ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।