পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর ওপর দরূদ পাঠ করার নির্দেশ মহান আল্লাহপাক প্রদান করেছেন। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ নবীর রাসূলুল্লাহর (সা:) প্রতি দরূদ (রহমত) প্রেরণ করেন, হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করো এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ করো। (৩৩ নং সূরা আহযাব : আয়াত ৫৬)।
এই আয়াতে কারীমায় এমন একটি কাজের কথা বলা হয়েছে যে কাজটি আল্লাহপাক করেন এবং তাঁর ফিরিশতাগণ করেন। এই কাজটি করার জন্য আল্লাহপাক মুমিনগণকেও নির্দেশ করেছেন। সে কাজটি হলো মুমিনদের জন্য রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা। ফিরিশতাদের কাজ হলো তাঁর কল্যাণ ও বরকত লাভের জন্য দোয়া করা। আল্লাহপাকের কাজ হলো তাঁর প্রতি রহমত বর্ষণ করা।
বস্তুত মুমিন-মুসলমানদের একান্ত কর্তব্য হলো নূর নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা। এতদ প্রসঙ্গে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যেমন : (ক) হযরত আবু বুরদা বিন দিনার (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: আমার উম্মতের যে ব্যক্তি খালেস অন্তরে আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, মহান আল্লাহপাক তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করবেন এবং তাঁর দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন এবং তাঁর জন্য দশটি নেক লিখে দেবেন এবং তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (সুনানে নাসাঈ; মুসনাদে কাজ্জার; মু’জামে তিবরানী)। (খ) হযরত উবাই ইবনে কায়াব (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কতবার আপনার ওপর দরূদ পাঠ করব?
তিনি বললেন : তোমার যত ইচ্ছা। আমি বললাম (মোট সময়ের) চার ভাগের এক ভাগ সময় পর্যন্ত পড়লে কেমন হয়? তিনি বললেন : তোমার যত ইচ্ছা। যদি অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করো, এতে তোমারই কল্যাণ। আমি বললাম (মোট সময়ের) অর্ধেক পরিমাণ সময় পর্যন্ত পড়লে কেমন হয়? তিনি বললেন : তোমার যত ইচ্ছা। যদি অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করো, তাহলে তোমারই কল্যাণ। আমি বললাম আমি আমার সকল দরূদ আপনার উদ্দেশ্যেই নিবেদিত করব। তিনি বললেন : তাহলে তোমার সকল চিন্তা বিদূরিত হবে এবং তোমার সকল গোনাহ মাফ করা হবে। (মোসনাদে আহমাদ)। (গ) হযরত আনাস বিন মালেক (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহপাক তাঁর প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। যে ব্যক্তি আমার ওপর দশবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহপাক তাঁর প্রতি একশ’টি রহমত বর্ষণ করবেন। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি ১০০ বার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহপাক তাঁর কপালে নেফাক থেকে বিমুক্ত লিখে দেবেন এবং জাহান্নাম থেকেও বিমুক্ত লিখে দেবেন। (মু’জামে তিবরানী)। (ঘ) হযরত আনাস (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : যে ব্যক্তি আমার প্রতি দৈনিক এক হাজারবার দরূদ পাঠ করবে, সে জান্নাতে তার স্থান প্রত্যক্ষ না করে মৃত্যুবরণ করবে না। (মোসনাদে আহমাদ)। (ঙ) হযরত আবু কাহাল (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: যে ব্যক্তি দিনে এবং রাতে আমার ভালোবাসায় আগ্রহভরে তিনবার আমার প্রতি দরূদ পাঠ করবে, তখন মহান আল্লাহর কর্তব্য হয়ে যায় সে ব্যক্তির ঐ দিন ও ঐ রাতের সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া। অপর এক বর্ণনায় এসেছেÑ প্রতিবার দরূদ পাঠের জন্য ঐ ব্যক্তির এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বায়হাকী)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।