পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অফুরন্ত দান, অনাবিল ইহসান বয়ান করে কোনো দিন শেষ করা যাবে না। তাঁর নেয়ামতের কোনো শেষ নেই, অন্ত নেই। সীমিত হায়াতের তারে বাঁধা মানব জাতি তার সামান্য জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দ্বারা কোনো দিন স্বীয় সৃষ্টিকর্তার অসীম কুদরতকে সীমাবদ্ধ করতে পারবে না। কারণ তিনি খালিক, তিনি মালিক, তিনি আযীম, তিনি কারীম, তিনি পরাক্রমশালী, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ, তিনি বাঁধা-বন্ধনহীন। আকাশ-পাতালের সবকিছু তারই নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে।
এ জন্য সমস্ত হাম্দ ও প্রশংসা, সমস্ত শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা তাঁরই জন্য। সমস্ত আজমত, সমস্ত মাহাত্ম্য তাঁরই প্রাপ্য। তাঁর দয়া, মায়া, অনুকম্পা ও ক্ষমার বারিধারা মহাবিশ্বকে সর্বক্ষণ আচ্ছন্ন করে রেখেছেন। এরই ফলশ্রুতি স্বরূপ তিনি আদম সন্তানরূপে ১ম আমে ফীল, (যে বছর কুখ্যাত আবরাহা কর্তৃক কাবাঘর ধ্বংস করার চক্রান্ত হয়েছিল) ১২ রবিউল আউয়াল, সোমবার দিন, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে, সুবহে সাদিকের সময় সাইয়্যেদুল মুরসালীন, রাহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন্ নাবিয়্যিন, শাফিউল মুজনেবীন, মাহবুবে রাব্বুল আলামীন মুহাম্মাদ মোস্তাফা আহমদ মুজতাবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই ধরাধামে প্রেরণ করেন। মানবজাতির প্রতি আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের অগণিত নেয়ামতরাজির মধ্যে পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনই সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। যার কথা আল কুরআনে ভাস্বর হয়ে ফুটে উঠেছে। ইরশাদ হয়েছে : ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার জন্য অসহনীয়, তোমাদের সকলের উপকার সাধনে তিনি সদা সচেষ্ট, বিশেষ করে মুমিনদের প্রতি তিনি অত্যন্ত দয়াবান, অতি মেহেরবান’। (৯ নং সূরা তাওবাহ: আয়াত ১২৮)।
বস্তুত, সকল সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের প্রিয় হাবীব নূর নবী হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এর প্রমাণে কয়েকটি হাদিস উপস্থাপন করা যায়। যথা: (ক) হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা:) বলেন, মহান আল্লাহ আকাশবাসী (ফিরিশতামণ্ডলী) ও নবীগণের ওপর হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। (সহীহ মুসলিম)। (খ) হযরত আনাস (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমি কিয়ামতের দিন আদম সন্তানের অভিভাবক হব। (এটা আল্লাহর দান) এতে আমার গৌরবের কিছুই নেই। (জামেয়ে তিরমিজী)। (গ) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমার হাতে থাকবে লেওয়াউল হামদ। আদম (আ:) ও অন্য নবীগণ সেদিন আমার ঝাণ্ডাতলে সমবেত হবেন। আমার কবরের মাটি সর্বপ্রথম বিদীর্ণ হবে। আমি প্রথম সুপারিশকারী হব এবং আমারই সুপারিশ প্রথম গ্রহণ করা হবে। (জামেয়ে তিরমিজী, মোসনাদে আহমাদ, সুনানে ইবনে মাজাহ)।
তাই, আসুন! আজকের এই বরকতময় দিনে আমরা হৃদয় নিংড়িয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি সালাত ও সালাম প্রেরণ করি এবং বলি: আস্ সালাতু আস্ সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ- আস্ সালাতু আস্ সালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ!!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।