পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আলহাদুলিল্লাহ! আজকের পরিবেশনায় আমি আমার মাথার তাজ, উস্তাদ হজরত মুফতী সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ আমিমুল ইহসান নকশবন্দি মুজাদ্দেদী, বরকাতী (রহ:) এর বরকতময় মাহে ‘রবিউল আউয়াল’ সম্পর্কে প্রদত্ত ভাষণের চয়ণকৃত অংশের একটু ঝলক সহৃদয় পাঠক ও পাঠিকাদের সামনে উপস্থাপন করতে প্রয়াস পাব। আসুন, এবার সেদিকে নজর দেয়া যাক।
তিনি বলেছেন : ‘চতুর্দিকে আলো আর আলো। সবদিকে শান্তি আর শান্তি। দুনিয়ার বুকে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতে সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামতের আবির্ভাবের দিন ঘনিয়ে এসেছে। হজরত মা আমেনা একটি গায়েবী আওয়াজ শুনতে পেলেন। অলক্ষ্যে থেকে কেউ বলছে, ‘হে আমেনা! তোমার গর্ভে দো’জাহানের সরদার অবস্থান করছেন। যখন তিনি ভূমিষ্ঠ হবেন, তখন তার নাম রাখবে ‘মোহাম্মাদ (সা:)’। যিনি দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় জাহানেই প্রশংসিত হবেন। হঠাৎ হজরত মা আমেনার সামনে এক নূর চমকে উঠল। যার আলোকচ্ছাটায় সুদূর সিরিয়ার শাহী মহলগুলো তার সামনে উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। এটা ছিল সেই নূর আসমানের পূর্বাভাস যার জন্য দীর্ঘদিন যাবত বিপদে জর্জরিত মানবজাতি প্রতীক্ষার প্রহর গুণছিল। যার আগমনের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ:) আল্লাহ জাল্লা শানুহুর দরবারে ফরিয়াদ করেছিলেন। যার শুভাগমনের ব্যাপারে হজরত ঈসা (আ:) বনি ইসরাইল জাতিকে সুসংবাদ দিয়েছিলেন। যার সৌজন্যে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা এই ত্রিভূবন সৃষ্টি করেছেন। যার প্রতি ঈমান আনয়নের জন্য এবং তাকে সমর্থন করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরাম থেকে কঠোর অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন। যার মাধুর্যপূর্ণ ও আলোকোজ্জ্বল চরিত্রে বিদ্যমান রয়েছে। আমানতদারী দানশীলতা, উদারতা, মহানুভবতা, বিনয় ও নম্রতা, সততা, সত্যবাদিতা, ধৈর্য্য, সহনশীলতা, বীরত্ব, সাহসিকতা। যার অছিলায় আরব ভূখণ্ড থেকে দুর্ভিক্ষ ও মহামারির অভিশাপ চিরতরে দূরীভূত হলো। উযর ও অনুৎপাদনশীল জমি ফল ও ফসলে ভরপুর হয়ে উঠল। দুগ্ধশূন্য বকরী ও উষ্টিগুলোর স্তন দুগ্ধে পরিপূর্ণ হয়ে গেল।
যাকে কোনোদিন সূর্যের তাপ স্পষ্ট করতে পারত না। কারণ তার উপরে মেঘের টুকরা সর্বদা ছায়াপাত করত। যিনি দুর্বল, অক্ষম ও দুস্থদের বোঝা বহন করতেন। যিনি তাদের অর্থ সাহায্য দিতেন। যিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায়বিচারক। সুনিপুণ ভাষণদানকারী। সুদক্ষ সেনাপতি ও যুদ্ধ পরিচালক। অবিশ্বাসী কাফেরদের ব্যাপারে কঠিন, ঈমানদারদের প্রতি সরলপ্রাণ, দয়াবান। আল আমীন ছিল যার উপাধী। যিনি আরব ও অনারবদের মধ্যে সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠাকারী। যিনি উম্মতের কষ্টে ব্যতীত এবং তাদের আনন্দে আনন্দিত। যিনি পরিবারের প্রতি যত্নবান, প্রতিবেশীদের শুভাকাক্সক্ষী, আত্মীয়তার বন্ধনকে সুদৃঢ়কারী। শত্রুকে মিত্রে পরিণত করা তার দুর্লভ আদর্শ। তিনি হলেন আমাদের পিয়ারা নবী, তাজদারে মদীনা মুক্তির দিশারী, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত হজরত মোহাম্মাদ মুস্তাফা আহমাদ মুজতবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তার প্রতি লাখো দরূদ ও লাখো সালাম বর্ষিত হোক, এটাই আজকের একান্ত প্রত্যাশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।