পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আহত ১২৮ : বিমান হামলায় সন্ত্রাসীরা নিশ্চিহ্ন
মিসরের উত্তর সিনাইয়ের সূফী মসজিদে বোমা ও গুলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৫ এ দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ২৭টি শিশু। মিসর সরকারের প্রসিকিউটর গতকাল একথা জানিয়েছেন। সরকার পরিচালতি নাইল টিভিতে পঠিত এক বিবৃতিতে সরকারী কৌসুলী বলেন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২৮ জন। বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ থেকে ৩০ জনের মতো সশস্ত্র ব্যক্তি বির আল-আবেদে অবস্থিত রওদাহ সূফী মসজিদে হামলা চালায়। কী ধরনের ভয়াবহ হামলা চালানো হয় তার বিস্তারিত বিবরণ দেন সরকারী কৌসুলী। হামলাকারীরা স্বয়ংক্রিয় মেশিন গান নিয়ে ৫টি এসইউভি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে আসে। তারা মসজিদের সামনে এবং প্রবেশপথে অবস্থান নেয়।
বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হামলার শুরুতে বন্দুকের গুলি ও বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুখোশধারীসহ বেশ ক’জন হামলাকারী এরপর মসজিদে প্রবেশ করে। বিবৃতি মতে, সামরিক ভেস্ট পরিহিত হামলাকারীদের ছিল দীর্ঘ দাড়ি ও চুল। মসজিদের প্রবেশকারীদের অন্তত একজনের কাছে ছিল আইসিস ফ্ল্যাগ। আইসিস বা মিসরে তাদের কোন শাখা থেকে এখনও এ হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। যদিও হামলার ধরনে আইসিসের ছাপ স্পষ্ট। মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্যোগ সত্তে¡ও সিনাই উপত্যকার উত্তরে আইসিস তার শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে এবং স্থানীয় চরমপন্থীদের উজ্জীবিত করে রেখেছে।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি দেশের মাটিতে সর্বাধিক নৃশংস এ হামলায় দায়ীদের নির্মূলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলার পরপরই দেশটির যুদ্ধবিমানগুলো সন্ত্রাসীদের আস্তানায় ব্যাপক হামলা চালায়।
গতকাল এক বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র তামের রিফাই বলেন, মিসরের বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে সন্ত্রাসীদের পিছু ধাওয়া করে এবং তাদের বহনকারী যানবাহনগুলোর ওপর বোমা বর্ষণ করে সেগুলো ধ্বংস এবং তাতে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদের সবাইকে হত্যা করা হয়। রিফাই বলেন, তাদের বাহিনী সন্ত্রাসীদের অস্ত্রাগার ও স্থাপনায় হামলা চালিয়ে সেগুলোও ধ্বংস করে দিয়েছে।
আল-রওদা মসজিদটি একজন প্রসিদ্ধ সূফীর জন্মস্থান বলে কথিত। ইসলামপন্থী একটি দল সূফীবাদের সমর্থক, তবে জিহাদীরা তাদের খারেজি বলে মনে করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদের পার্শ্ববর্তী একটি বিল্ডিং থেকে বিস্ফোরণ ঘটার পরই মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা লোকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে বন্দুকধারীরা। তারা আরো বলেন, বন্দুকধারীরা মসজিদে প্রবেশ করে সেখানেও গুলি চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলার পরপরই বন্দুকধারীরা রাস্তার পাশে অবস্থান নেয় এবং নিরপত্তা বাহিনীর সদস্যরা না আসা পর্যন্ত আহতদের আল-আরিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। সূত্র : সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।