শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
সম্প্রতি ঢাকার বাংলা একাডেমী চত্বরে শেষ হয়ে গেলো ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন ব্যাপী ঢাকা লিটফেস্ট। এরমধ্যে বিদেশী সাহিত্যিক ছিলেন দু’শোর অধিক এবং অংশগ্রহণকারী দেশ ছিলো ২৪। এই অনুষ্ঠান ঢাকায় প্রথম শুরু হয় ২০১১ তে। তখন ছিল ভিন্ননামে। এর পর নাম পরির্বতন হয়। তিন দিনের এই বিশাল অনুষ্ঠান সাহিত্যিকদের মনে এক ধরনের উত্তাপ রেখে যায়। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও ছাপা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আমাদের সাহিত্যের সঙ্গে বৈশ্বিক সাহিত্যের একটা যোগসূত্র গড়ে উঠেছে। এটা সাহিত্যের জন্য আনন্দ দায়ক। ইতিপূর্বে এদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক লেখক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, বিশ্ববিখ্যাত কবি-লেখক সেসব অনুষ্ঠান পদভার রেখেছেন। লেখক নির্বাচনে উদ্যোগতারা ছিলেন বেশ সর্তক। এবার একটি অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, আলোচকরা যখন আলোচনায় ব্যস্ত, তখন শ্রোতারা অমনোযোগী। এক্ষেত্রে শ্রোতাদের ভবিষ্যতে আরো সচেতন হতে হবে। যার জন্য আসা, সেটাই যদি না শোনা হয়, তবে কিসের জন্য অনুষ্ঠানের জায়গা দখল করে বসে থাকা? বিষয়টি ছিলো বিরক্তিকর। এ অনুষ্ঠানে বাংলাভাষী বা অন্য দেশের শীর্ষ আরও কিছু সাহিত্যিক উপস্থিত থাকলে অনুষ্ঠানের মান আরো উজ্জ্বল হতো। কবিতাপাঠে এদেশের বহুখ্যাতিমান কবির নাম ছিলো না। কেন ছিলনা? এর উত্তর আয়োজকরা ভালো বলতে পারবেন। অনেকেই এই নিয়ে বিরক্ত হয়েছেন। যারা তেমনভাবে কবি নয় অথচ লিট ফেস্টে তাদের নাম রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছেন, ব্যক্তি লিংকের মাধ্যমে তথাকথিত কবিরা (সম্ভবত একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক) ক্রলিং করতে করতে ঢুকে পড়েছে। আগামীতে যাতে এরকম না ঘটে আয়োজকদের সেই দিকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলা ভাষার প্রধান কবি আল মাহমুদ অসুস্থ। তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে কিনা জানিনা। তবে কিছু আলোচককে দেখা গেছে, আল মাহমুদের নামটাই আলোচনা থেকে বাদ দিতে। সব কিছু বিশেষ বিবেচনায় করা হলে সেখানে তো শূন্যতা থাকবেই। এজন্যই এদেশে কোনদিন বড় লেখক তৈরি হবে না। আর একটি কথা না বললেই নয়, অনেক দুর্বল লেখকই তাদের বই ইংরেজীতে অনুবাদ করে বিদেশী লেখকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এতে আমাদের সাহিত্য সম্পর্কে তাদের কি ধারণা হবে তা সহজেই অনুমেয়। যা হোক, এক পেশে সাহিত্য কখনো মূলধারা সাহিত্যের অবিভাবক হতে পারে না। সিরিয়াস সাহিত্য অন্তত তাই বলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।