পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইয়াওমে মূসা আলাইহিস সালাম উদযাপনের দ্বারা প্রমাণ প্রতিষ্ঠা
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী : (গ) অন্য একটি বর্ণনায় ইহুদীদের উত্তর এবং হুযুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর নির্দেশ এভাবে বিবৃত হয়েছে : তারা বলল, এটা খুবই বড়দিন। আল্লাহতায়ালা এই দিনে মূসা (আ:) এবং তাঁর কাওমকে নাজাত দিয়েছেন এবং যখন ফেরাউন ও তার কাওমকে ডুবিয়ে দিয়েছেন। মূসা (আ:) শোকর গুজারীর লক্ষ্যে এই রোজা রেখেছেন। সুতরাং আমরাও রোজা পালন করি। একথা শুনে হুযুর আকরাম (সা:) বললেন, তোমাদের তুলনায় আমি মূসার অধিক হকদার ও নিকটতম। সুতরাং সেই দিন তিনি নিজে রোজা রাখলেন এবং সাহাবাদেরকেও সেই দিন রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। [১। সহীহ বুখারী : কিতাবুল আম্বিয়া, বাবু কাওলিল্লাহি তায়ালা : ওয়া হাল, আতাকা হাদীসু মূসা, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১২৪৪, বর্ণনা সংখ্যা ৩২১৩; ২। সহীহ মুসলিম; কিতাবুস সাওম, বাবু সাওমের ইয়াওমে আশুরা, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৭৯৬, বর্ণনা সংখ্যা ১১৩০, ৩। সুনানে ইবনে মাজাহ। কিতাবুস সিয়াম: বাবু সিয়ামে ইয়াওমে আশুরা, খন্ড ১ পৃষ্ঠা ৫৫২, বর্ণনা সংখ্যা ১৭৩৪; ৪। মুসনাদে আহমাদ বিন হাম্বল : খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৩৬, বর্ণনা সংখ্যা ৩১১২।]
উল্লেখিত বর্ণনাবলীর দ্বারা জানা গেল যে, বনী ইসরাঈল ফেরাউনের জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। যার কারণে আল্লাহ দ্বীনের পায়রবী করা তাদের জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু হযরত মূসা (আ:)-এর ক্রমাগত চেষ্টার ফলে সেই সুন্দর দিনের উদয় ঘটল, যখন বনী ইসরাঈল নীল দরিয়া পার হয়ে গেল এবং তাদের পশ্চাদ্বাবনকারী ফেরাউন স্বীয় সৈন্যসহ সেই দরিয়ায় ডুবে গেল। এভাবে বনী ইসরাঈল জুলুম ও নির্যাতন থেকে মুক্তি ও স্বাধীনতা লাভ করেছিল। বিজয় ও স্বাধীনতার এই নেয়ামত ছিল আল্লাহতায়ালার ফজল এবং রহমত। সুতরাং হযরত মূসা (আ:) আল্লাহর শোকর আদায় করতে গিয়ে রোজা রাখলেন এবং বনী ইসরাঈলও রোজা রাখল। তারা সেই দিনটিকে মুক্তি ও স্বাধীনতার দিন হিসেবে অদ্যাবধি উদযাপন করছে। হুজুর নবীয়ে আকরাম (সা:) ও হযরত মূসা (আ:)-এর সাথে রাসূল হিসেবে সম্পর্কের কারণে সেই দিন রোজা রেখেছেন এবং মুসলমানদেরকেও রোজা রাখতে হুকুম দিয়েছেন। ইমাম তাহাভী (২২৯-৩২১ হি:) বলেন, এর দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা:)-মূসা (আ:)-এর ফেরাউনের ওপর বিজয় লাভের জন্য আল্লাহতায়ালার শোকর উদযাপনের লক্ষ্যে রোজা রেখেছেন। (তাহাভী : শরহে মায়ানিউল আছার, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩২, বর্ণনা সংখ্যা ৩২০৯)। এখানে একটি চিন্তার বিষয় এই যে, যদি ইহুদীরা নিজেদের পয়গাম্বরের বিজয় এবং তাদের আজাদী ও মুক্তি লাভের দিনকে সম্মানের উপযুক্ত মনে করে ইহা উদযাপন করার অধিকার রাখে, তাহলে মুসলমানগণ ও তাদের নবী (সা:)-এর মীলাদের দিনকেও সম্মানের যোগ্য মনে করে উদযাপন করার অধিক হক সংরক্ষণ করেন। তিনি হচ্ছেন খাতেমুল আম্বিয়া এবং সাইয়্যেদুল আম্বিয়া ও সাইয়্যেদুল মুরছালীন। তিনি আল্লাহপাকের ফজল ও রহমত হয়ে সকল মানবতাকে আজাদী দানের জন্য এবং জুলুম ও অত্যাচার থেকে মুক্তিদানের জন্য তশরিফ আনয়ন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।