নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেছেন, ‘শিঘ্রই বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হবে।’ গতকাল বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত স্পোর্টস কার্নিভালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বাহফে’র নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা দীর্ঘদিনের। চার বছর আগে সর্বশেষ এই ফেডারেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সদ্য প্রয়াত খাজা রহমতউল্লাহ পূর্ণ মেয়াদে চেয়ারে থাকতে পারেননি। বিদ্রোহী কয়েকটি ক্লাবের চাপে প্রায় আড়াই বছর পর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন আব্দুস সাদেক। রহমতউল্লাহ পান সহ-সভাপতির চেয়ার। এই কমিটিরই মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুলাই। সব কিছু ঠিকই ছিল। আগের কমিটির মেয়াদ শেষে ক’দিনের মধ্যেই নতুন নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গত ৩১ আগস্ট নির্ধারণ হয় এই নির্বাচনের দিনক্ষণ। কিন্তু মনোয়নপত্র সংগ্রহের আগেই ১৭ আগষ্ট স্থগিত হয়ে যায় বাহফে’র নির্বাচন। দেশে বন্যা এবং দশম এশিয়া কাপ সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে স্থগিত হয় করা হয় এই নির্বাচন। বন্যা শেষ হয়েছে, এশিয়া কাপও শেষ। এখন কবে হবে নির্বাচন? সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন ঘোষণা নেই। তবে কাল বীরেন শিকদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা শিঘ্রই হকির নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করবো। বন্যা পরিস্থিতি ও এশিয়া কাপের জন্য এই নির্বাচন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল। তবে এখন আর বাধা নেই নির্বাচন আয়োজনের।’
অ্যাথলেটিক্স, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, কাবাডি, ভারোত্তোলন, টেনিসসহ বেশ ক’টি ফেডারেশনের কার্যক্রম অ্যাডহক কমিটি চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ভারোত্তোলনের বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে। ভারত্তোলনের নির্বাচনী কাজ শুরু হবে। কাবাডি জাতীয় খেলা। কাবাডি নিয়েও আমরা ভাবছি।’ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে বিভিন্ন সফরে কোচ হিসেবে ও দলের সাথে মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা বিদেশ সফর করছেন। এ প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম ঘটনা আমার জানা নেই। কোচ হিসেবে কোচেরই যাওয়া উচিত। বিষয়টি আমি দেখব।’ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জট প্রসঙ্গে বীরেন শিকদারের কথা, ‘গত বছর আমরা তিন বছরের পুরস্কার দিয়েছি। পরবর্তী তিন বছর (২০১৩, ’১৪ ও ’১৫) পুরস্কার প্রক্রিয়া আমরা চূড়ান্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সময় পেলেই আমরা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।