মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণে ৯,০০০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদিত হয়েছে। ২০১৬ সালের চেয়ে এই উৎপাদন ৮৭ শতাংশ বেশী। গতবছর এই সময়ে আফিমের উৎপাদন ছিলো ৪,৮০০ মেট্রিক টন। গত বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) ও আফগান মাদক নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট এই তথ্য উঠে এসেছে। আফগানিস্তানে ইউএনওডিসি’র পরিচালক মার্ক কোলহাউন বলেন, মাদকের এই বিপুল উৎপাদন বন্ধে দৃষ্টি দেয়া জরুরী। এর মধ্যে দিয়ে অবৈধ সম্পদ আহরণ, মাদক পাচার, মাদকাসক্তিসহ নানা সনমস্যা বাড়তেই থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী তালিবান অর্থায়নের ৬০ শতাংশই আসে অবৈধ মাদক উৎপাদন ও এ সংক্রান্ত ব্যাবসা থেকে। আফগানিস্তানে বহু বছর ধরেই আফিম উৎপাদন করছে তালেবানরা। কিন্তু তা থেকে হেরোইন উৎপাদনের প্রযুক্তি এতদিন তাদের হাতে ছিল না। তবে স¤প্রতি সে বাধাও কাটিয়ে উঠেছে তারা। এবার হেরোইন উৎপাদনের প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছে তালেবানরা। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো। আফিম থেকে হেরোইন উৎপাদনের প্রক্রিয়া মোটেই সহজ নয়। আর এতদিন তাই তালেবানরা শুধু আফিম উৎপাদন করেই তা বিক্রি করেছে। নতুন করে হেরোইন উৎপাদন শুরু করায় এটি নতুন মাত্রা পেল। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানদের উৎপাদিত এ হেরোইন বিশ্বে দুটি বড় পরিবর্তন আনবে। ইউএনওডিসি’র জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালের তুলনায় আফিমের কাঁচামাল পপি চাষের জমির পরিমাণ ৬৩ শতাংশ বা ১২৭,০০০ হেক্টর বেড়েছে। এখন ৩২৮,০০০ হেক্টর জামিতে পপি চাষ হয়। ইউএনওডিসি’র নির্বাহী পরিচালক ইউরি ফেদতভ বলেন, আফগানিস্তানতো বাটেই সারা বিশ্বের জন্যই আমরা একটি অচিহ্নিত ভূখÐের দিকে এগিয়ে চলেছি। সেখানে মাদক উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। আরো উদ্বেগের বিষয় হলো সম্ভাব্য ৯,০০০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আফিম উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় তা আফগানিস্তান, এর প্রতিবেশি এবং বিশ্বের জন্য বহুমুখি চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করবে। পরিচালক বলেন, আফগানিস্তান ইতোমধ্যে মাদকের সমস্যায় আক্রান্ত। এখন মাদকের অপব্যবহার আরো বাড়বে। অবৈধ অর্থনীতির ওপর মানুষের নির্ভরশীলতাও বাড়তে থাকবে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে দুর্নীতি। ফেদতভ বলেন, আফগানিস্তান ও আশেপাশের দেশগুলো সুশাসন ও স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হবে। এই প্রবণতার কারণে অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হবে এবং সন্ত্রাসীগ্রুপগুলোর হাতে বেশি অর্থ চলে যাবে। তার মতে, আফিমের ব্যাপক উৎপাদনের ফলে নতুন এ্যাক্টরের উত্থান ঘটবে। এসব নতুন এ্যাক্টরের কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ হতে পারে। তারা বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাদক বাণিজ্যকে বেছে নিতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।