বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের শামিম (২০) হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড ও দুই যুবককে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের জেলা দায়রা জজ মোঃ রবিউল হাসান এই রায় দেন। দণ্ডিত যুবকের নাম জুয়েল রানা (২৫)। সে কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলো, একই উপজেলার বেলটিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে জাকির হোসেন (২৫) ও আব্দুল গফুরের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩২)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, দণ্ডিত ব্যক্তি আলীপুর গ্রামের জুয়েল রানা ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার শামীম নামে এক যুবককে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শামিমকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবার জুয়েল রানাকে চাপ সৃষ্টি করলে জুয়েল প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে শামিমকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এসময় জুয়েল জানায়, শামিমকে পার্শ্ববর্তী বেলটিয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের একটি কলাবাগানে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। শামিমকে হত্যার পূর্বে তার কাছে থাকা তার খালাত ভাই নাসিরের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল ও ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে জুয়েলকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শামিমের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও হাত-পা গামছা দিয়ে বাধা ছিল। পরে পুলিশ জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শামীমের মা শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর তিনজনে আসামী করে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন।
রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত জুয়েল রানাকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলমগীর খান। তাকে সহায়তা করেন এপিপি এডভোকেট মনিরুজ্জামান সেলিম। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট তাইজুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।