মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইয়েমেনে আরোপিত অবরোধ তুলে না নিলে এক সপ্তাহের মধ্যেই শ’ শ’ অসুস্থ ও বয়োজ্যেষ্ঠ ইয়েমেনি মানুষ মারা যাবেন। জরুরি ভিত্তিতে তাদের সহায়তা প্রয়োজন। স্থানীয় চিকিৎসকদের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। চিকিৎসকরা জানান, রাজধানী সানা’র ফার্মেসিগুলোতে ইতোমধ্যেই ওষুধের তীব্র সংকট দেখা গেছে। ক্যান্সার, ডায়বেটিস ও হৃদরোগের চিকিৎসা করা আর সম্ভব হবে না। অপর এক খবরে বলা হয়, ইয়েমেনে ৮ লাখ ৫২ হাজারের অধিক মানুষ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজার ১৭০ জন মানুষ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল হাকিম আল কাহলানি এ তথ্য জানিয়েছেন। ইরানের মেহের বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, স্থল, সমুদ্র ও আকাশ পথে অবরোধের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত বোমা বর্ষণে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ায় কলেরা রোগের বিস্তার ঘটেছে। ইয়েমেনের চিকিৎসা ব্যবস্থাও ধসে পড়েছে। তিনি এ যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেছেন, বিমান হামলায় চিকিৎসা পরিষেবার ৪১৪টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সানার আল মুতাওকিল হাসপাতালের ডাক্তার আল-আনসি বলেন, আমাদের মেডিকেল সরবরাহ বিপজ্জনক হারে কমে এসেছে। আমরা অন্য কোথাও এই ওষুধ বা ইনসুলিন খুঁজে পাবো না। গত মাসেই লিমফোসাইটিক লিউকোমোয়িয়ায় প্রাণ হারিয়েছে দুই বছরের এক শিশু। তিনি বলেন, খাবার ও ওষুধ সরবরাহের জন্য অবরোধ শিথিল না করলে অনেক ক্যানসার রোগী মারা যাবেন। এমনকি ডায়বেটিসেও মৃত্যু হতে পারে শ’ শ’ রোগীর। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকেই ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সউদী নেতৃত্বাধীন জোট। সম্প্রতি রাজধানী রিয়াদে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ঘটনায় অবরোধ আরোপ করে সউদী আরব। স্থল, পানি ও আকাশপথ বন্ধ করে দেয়ায় সীমান্তে আটকা পড়েছে অনেক জরুরি ত্রাণ সামগ্রী। সউদী আরবের যুক্তি, ইরান যেন অস্ত্র সরবরাহ করতে না পারে সেজন্যই এই অবরোধ আরোপ করেছে তারা। ইরান অবশ্য এই অভিযাগ অস্বীকার করেছে। এই অবরোধে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাগুলো আটকা পড়েছে অক্সফাম, ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স এর মতো আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো। সংস্থাগুলো জানায়, সউদী আরবের এই সিদ্ধান্তে তারা খুবই শঙ্কিত। তারা সতর্ক করে দেয়, এই অবস্থায় লাখ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যেতে পারে। অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেস, নরওয়ে রিফিউজি কাউন্সিলসহ ১৯টি ত্রাণ সংস্থা এক যুক্ত বিবৃতিতে জানায়, ইয়েমেন মজুদ করা ওষুধ মাত্র এক মাস থাকবে। যদি নতুন ওষুধ না আসে তবে মহামারী আকারে অসুখ ছড়িয়ে পড়বে। পোলিওর মতো রোগও খুবই মারাত্মক হয়ে যাবে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের জন্য পরিস্থিতি হবে খুবই ভয়াবহ। ২২টি মানবাধিকার সংস্থার এই জোট আরও জানায়, ৭০ লাখ দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ছয় সপ্তাহের খাবার রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইয়েমেনে মানবেতর পরিস্থিতি খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ করা না হলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুহবে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।