পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে শাহজাদা মানসুর বিন মুকরিন নিহতের ২৪ ঘণ্টার মাথায় সউদী আরবের আরও একজন শাহজাদা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ নামের এ শাহজাদা পবিত্র আল আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীকারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। সিয়াসাত ডেইলি এবং ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে টুইটারে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সিয়াসাত ডেইলি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহজাদা মানসুর বিন মুকরিন নিহতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজপরিবারের কনিষ্ঠতম এ শাহজাদা নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)-এর সাবেক স্পেশাল এজেন্ট আল এইচ সৌফান তার নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আবদুল আজিজ-এর মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া হওয়া গেছে। তার বয়স ছিল ৪৪ বছর। এর আগে সাবেক ক্রাউন প্রিন্সের পুত্র শাহজাদা মানসুর বিন মাকরিন’কে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
এ টুইটে অবশ্য শাহজাদা আবদুল আজিজ বিন ফাহাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র খবরে বলা হয়েছে, খবর পাওয়া যাচ্ছে শাহজাদা আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ’কে গ্রেফতারের সময় সঙ্ঘটিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগে একইদিন গত সোমবার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সউদী আরবের দক্ষিণাঞ্চলের আসির প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর শাহজাদা মানসুর বিন মুকরিন তার কয়েকজন সহকর্মীসহ নিহত হন। তবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে, সরকারি কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে আসির প্রদেশের ইয়েমেন সীমান্ত দিয়ে যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটি। পরে হঠাৎ সেটি বিধ্বস্ত হয়।
স¤প্রতি সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানে দেশটির ১১ জন শাহজাদা, চারজন বর্তমান মন্ত্রী এবং প্রায় ডজন খানেক সাবেক মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় দেশটিতে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই দুই শাহজাদা নিহত হলেন।
সউদী সালতানাতে অবশ্য অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ব নতুন নয়। তবে শাহী পরিবারের সেই অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ইতোপূর্বে এমন জোরালোভাবে সামনে আসেনি। ভিন্নমত সত্তে¡ও দীর্ঘ সময় ধরে শাহী পরিবার একক কণ্ঠস্বরকেই ঐতিহ্য হিসেবে অনুসরণ করে আসছে। তবে এবার তা ভেঙে অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্বর বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে সামনে এসেছে। সর্বশেষ নিহত শাহজাদা আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ পবিত্র আল আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীকারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।
চলতি বছরের জুলাইয়ে এক টুইটে শাহজাদা আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ লিখেছেন, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলিম ফিলিস্তিনে এবং পবিত্র আল আকসা মসজিদে আমাদের ভাইদের সমর্থন করতে বাধ্য। হে মুহাম্মাদের জাতি, তাদের দেখিয়ে দাও তোমরা কারা। আল-আকসাকে অবহেলা করাটা হবে অসম্মানজনক। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কাছে এর জবাব চাইবেন’।
অন্য এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘হে মুহাম্মাদের জাতি, আমাদের তৃতীয় কিবলা দখলদারদের হাতে বন্দি। আমাদের মধ্যে কি কোনও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি নেই? আসুন লড়াই করি। আমাদের বিজয়ী হয়ে এই পবিত্র ঘরের সংরক্ষণ করতে হবে। আর সে লড়াইয়ে ব্যর্থ হলেও আমাদের রব আমাদের ক্ষমা করবেন।’ সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, দ্য দুরান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।