পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
জার্মান-অষ্ট্রেলিয়ান এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্সে যোগদানরত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উজ্ঝল সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, সিরামিক পণ্য, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ সকল পণ্য আমদানি বৃদ্ধি করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করেছে। সে জন্য বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য লাভজনক স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের যে কোন একটিতে অস্ট্রেলিয়া বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার সবধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ পলিসি খুবই ভালো। এখানে শতভাগ বিনিয়োগ ও প্রয়োজনে বিনিয়োগকৃত অর্থ লাভসহ যে কোন সময় ফিরিয়ে নিতে পারবে। সরকার আইন প্রনয়ন করে নিবিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল শনিবার ক্রাউন টুওয়ার্স হোটেলের ক্রাউন বিজনেস বোর্ড রুমে অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী সিনেটর মাথিয়াস কোরম্যান এর সাথে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, উভয় দেশের মধ্যে কার্গো উড়জাহাজ চলু করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় ৬৫৮ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৬৮৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি হলে উভয় দেশের বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পাবে।
অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিও বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ান কথা বলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে। এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানীর প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গত শুক্রবার
বাণিজ্যমন্ত্রী অষ্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে ক্রাউন টুওয়ার্স হোটেলে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ট্রেড মিনিস্টার এ্যাড্রিউ রব এর সাথে মতবিনিময়ের করেন। এ সময় অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফরিদা ইয়াসমিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।