পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরব কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটির নারীরা যাতে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারে সে অনুমতি দেয়া হবে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির তিনটি বড় শহর- রিয়াদ, জেদ্দা এবং দাম্মামে ২০১৮ সালের প্রথম দিক থেকে পরিবারগুলোকে স্টেডিয়ামে বসে খেলো দেখার অনুমতি দেয়া হবে।
সউদী আরব কর্তৃপক্ষ দেশটির নারীদের যে কিছু স্বাধীনতা দেবার উদ্যোগ নিয়েছে, স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা সেটির একটি ধারাবাহিকতা। এর আগে গতমাসে সউদী নারীদের উপর থেকে ড্রাইভিং-এর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা করেছিলেন, দেশটির নাগরিকরা যাতে দেশের ভেতরেই বিনোদন উপভোগ করতে পারে সেজন্য দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করা হবে। এসব পদক্ষেপ তারই ধারাবাহিকতা। সউদী সমাজে ইসলামী আইনের অধীন নারীদের উপর বিধি-নিষেধ আছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, সেসব স্টেডিয়ামে নারীদের যাবার অনুমতি দেয়া হচ্ছে, সেখানে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে এবং বড় পর্দা বসানো হবে। গত মাসে সউদী আরবের জাতীয় দিবস উপলক্ষে রিয়াদের একটি স্টেডিয়ামে নারীদের যাবার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। সউদী আরবে অভিভাবকত্বের নিয়ম অনুযায়ী নারীরা যদি পড়াশুনা, ভ্রমণ কিংবা অন্যান্য কাজে যেতে চায় তাহলে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের অনুমতি নিয়ে যেতে হয়। এসব পুরুষ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বাবা, স্বামী কিংবা ভাই।
সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত সপ্তাহে বলেছিলেন, সউদী আরব আগে যে রকম ছিল ঠিক সে অবস্থায় ফিরে যাবে। জনাব মোহাম্মদ বলেন, সউদী আরব একটি মধ্যপন্থী ইসলামিক দেশ হবে যেখানে সব ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা থাকবে।
সউদী আরবে মোহাম্মদ বিন সালমান যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন, সেটি খুব একটা সহজ কাজ হবে না। গতমাসে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে নারীদের স্টেডিয়ামে ঢোকার যে অনুমতি দেয়া হয়েছিল সেটি নিয়ে ইসলামন্থীদের অনেকে সমালোচনা করেছেন। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।