Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ জিন পিংয়ের

সুপার কম্পিউটার প্রযুক্তির সমন্বয়ে সেনা ইউনিটগুলো যুদ্ধ করবে

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনা সেন্ট্রাল টেলিভিশনকে (সিসিটিভি) দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বলেছেন, স্নায়ু টান টান করে সজাগ থাকতে হবে সেনাবাহিনীকে। দুনিয়াকে বুঝিয়ে দিতে হবে ২৩ লাখ সেনা নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনী সবচেয়ে সেরা। তাই যে কোনো যুদ্ধে দ্রুত কীভাবে বিজয়ী হওয়া যায় সেদিকে মনোযোগ রাখতে হবে সেনাবাহিনীকে। একবিংশ শতকে বিশ্বকে শাসন করুক চীনের অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী। এটাই চান চীনারা। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধজয়ের ব্ল প্রিন্ট তৈরির প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অত্যাধুনিক যুদ্ধকৌশল দ্রুত রপ্ত করতেও পরামর্শ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠকের পর চীনা সেনার কাছে যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতির স্পষ্ট নির্দেশ পৌঁছে দিয়ে জিন পিং বলেছেন, অত্যাধুনিক যুদ্ধরীতি মহড়ার পাশাপাশি, দীর্ঘ প্রশিক্ষণের উপরেও জোর দিতে হবে সেনাবাহিনীকে। একাধিক ইস্যু নিয়ে চীন এখন ভারত, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে। অনেক দিন আগেই লাগাতার সামরিক মহড়ার মাধ্যমে দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, স¤প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় শক্তিশালী রাডার বিশিষ্ট মার্কিন থাড (টার্মিনাল হাই অল্টিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার মোকাবিলা করতেই চীনের এই উদ্যোগ। বাহিনীর ভেতর থেকেই তৈরি করা হয়েছে ৮৪টি বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সেনা ইউনিট। উপগ্রহ ও সুপার কম্পিউটার প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ইউনিটগুলি যুদ্ধ করবে। গত ডিসেম্বর মাসে এক বৈঠকে লাল ফৌজের আকার ছোট করার ওপর জোর দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। সেই মতোই অনেক কাটছাঁট করা হয়েছে চীনা সেনাবাহিনীতে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীকে আরো দক্ষ ও আগ্রাসী করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন জিনপিং। সদ্যসমাপ্ত পার্টি কংগ্রেসে পার্টির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ক্ষমতায়ন করা হয় জিনপিংয়ের। তিনি পার্টি ও পার্টির অনুগত সেনাবাহিনীর একক সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারী। দক্ষিণ চীন সাগর, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবোর), সীমান্ত সমস্যা এবং উত্তর কোরিয়া-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে চীন এখন ভারত, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে। অনেক দিন আগেই লাগাতার সামরিক মহড়ার মাধ্যমে দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে লালফৌজকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে বলাটা ইঙ্গিতবাহী। সিসিটিভি।



 

Show all comments
  • বাতেন ৩০ অক্টোবর, ২০১৭, ২:৫৩ এএম says : 0
    বিশ্বে অশান্তির জন্য এরকম কয়েকজনই যথেষ্ট
    Total Reply(0) Reply
  • Habib ৩০ অক্টোবর, ২০১৭, ২:১৭ পিএম says : 1
    স্থল ভাগের প্রতিটি ভূখন্ড যদি নিজেদের প্রভাব / ক্ষমতা প্রদর্শনে মনযোগি হয়..... একটা সময়, মানব সভ্যতাকে এর চরম মূল্য দিতে হবে.........
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ