মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডোকলাম বিবাদের সমাধান ‘সন্তোষজনক’। গত রোববার এমনটাই জানিয়েছে চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’। দলের অভ্যন্তরে উত্তরোত্তর ক্ষমতা বাড়ছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। লালফৌজের এই বার্তায় আরও স্পষ্ট হল সেই পরিস্থিতি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হয়েছেন জিনপিং। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া প্রায় নিশ্চিত। এমনকী, নজিরবিহীনভাবে তিনি তৃতীয় দফাতেও শীর্ষ পদে আসীন হতে পারেন।
বর্তমানে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম পার্টি কংগ্রেস চলছে। রোববার তারই পাশে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন অত্যন্ত প্রভাবশালী ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন’-এর শীর্ষ আধিকারিক লিউ ফাং। ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, চীনের মাটিতে ভারতীয় সেনার অনধিকার প্রবেশ করে বিবাদ শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। যদিও প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য মন্ত্রক যৌথভাবে কাজ করে সে সমস্যার সমাধান করেছে। ভারতের নাম না করে তিনি আরও জানান, বিভিন্ন দেশের সেনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে ‘পিএলএ’। ফলে ডোকলামে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছেন বাহিনীর সদস্যরাই।
লালফৌজের বক্তব্যে জিনপিংয়ের বাড়ন্ত প্রভাব স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মসনদে বসেই দুর্নীতি দমনের নামে রাজনৈতিক বিরোধীদের উৎখাত করা শুরু করেছেন শি। তাঁর নিশানায় পড়ে হাজতে জায়গা হয়েছে সান ঝেংকাই-সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের। স¤প্রতি, জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বানচাল করা হয়েছে বলে জানান, চীনের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান লিউ শিউ।
২০১২-য় জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্রমাগত সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চীন। বর্তমানে তাদের সামরিক বাজেট প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলার, আমেরিকার পর সর্বোচ্চ। ২০৩৫-এর মধ্যে বাহিনীকে বিশ্বের অন্যতম সেরা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন জিনপিং। কিন্তু তাতে এশিয়া মহাদেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পার্টি ও লালফৌজের উপর জিনপিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে আশঙ্কায় রয়েছে দিল্লিও। কারণ চীনা সেনার আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আগ্রাসী মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন জিনপিং। ফলে এশিয়া মহাদেশে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে ক্রমেই ক্ষমতার লড়াই যে আরও জমে উঠবে তা একপ্রকার স্পষ্ট। সূত্র : সংবাদ; প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।