বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, অযৌক্তিক পৌরকর চাপিয়ে দেয়ার ইচ্ছা সিটি কর্পোরেশনের নেই। পৌরকর সংক্রান্ত বিষয়ে ইতোমধ্যে দাবি, স্মারকলিপিসহ নানাভাবে যে সকল অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে সেসকল অভিযোগসমূহ আমলে নিয়ে রিভিউবোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। গতকাল (রোববার) নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিকের নির্বাচিত ৫ম পরিষদের ২৭তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
মেয়র নাছির বলেন, হোল্ডারদের আপিল বা আপত্তি দায়ের করার জন্য বিনামূল্যে ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও হোল্ডারদের আপিল দায়েরের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোপূর্বে গঠিত রিভিউবোর্ড আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। জনস্বার্থে আরও ৭টি রিভিউবোর্ড গঠন করা হবে। মেয়র হোল্ডারদের পি ফরম পূরণ করে আপিল শুনানিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রিভিউবোর্ড হোল্ডারদের মতামত আমলে নিয়ে সহনীয় পর্যায়ে পৌরকর চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবে। মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সেবা ও কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের নিকট এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে নগরবাসীর নিকট জবাবদিহিতা রয়েছে। জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের দায়িত্বপালন করতে হয়। সরকারের বিধিবদ্ধ আইনের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পৌরকর পুনঃমুল্যায়ন কর্মসূচি প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন করেছে। মেয়র বলেন, বিগত মেয়রদের সময়ে যেহারে পৌরকর ধার্য্য ছিল ঠিক একইহারে বর্তমানে এসেসমেন্ট করা হয়েছে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ২ ভাগ করে এসেসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। তন্মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ড পুর্ণ কনজারভেন্সি ওয়ার্ড বিবেচনায় ৭ শতাংশ হোল্ডিং, ৭ শতাংশ পরিচ্ছন্ন ও ৩ শতাংশ আলোকায়ন মিলে ১৭ শতাংশ এবং বাকী ১৬টি ওয়ার্ড আংশিক কনজারভেন্সি বিবেচনায় ৭ শতাংশ হোল্ডিং, ৪ শতাংশ পরিচ্ছন্ন ও ৩ শতাংশ আলোকায়ন মিলে ১৪ শতাংশ পৌরকর নির্ধারণ করা হয়েছে। মেয়র নাছির বলেন, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কোন নাগরিকের উপর অহেতুক কর ধার্য্য করে কষ্ট দেয়ার কোন মন-মানসিকতা আমার নেই। নাগরিকদের সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনা ও সুযোগ-সুবিধা পরিপূর্ণভাবে আমলে নিয়ে মেয়র পদে থেকে শতভাগ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাই মেয়র হিসেবে ঈমানী দায়িত্ব মনে করে দায়িত্ব পালন করে যাাচ্ছি। তিনি বলেন, আপিল নিষ্পত্তির পর যদি কোন নাগরিক পৌরকরের বিষয়ে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মনে করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট হোল্ডার সরাসরি মেয়রের সাথে কথা বলার সুযোগ পাবেন। এছাড়া নগরীর হতদরিদ্র, দরিদ্র, অস্বচ্ছল ও আদিবাসী নাগরিকদের আপিল শুনানীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া হবে।
চসিক সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় নির্বাচিত পরিষদের সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, অফিসিয়াল কাউন্সিলরসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।