সেই সাথে কবিতায় ইংরেজি শব্দের কৃত্রিম ব্যবহারের পরিবর্তে লোকজ শব্দকে গুরুত্ব দেয়।উপমা,চিত্রকল্প,শব্দের ব্যবহারে নন্দনের ভার কিছু কমিয়ে তা পাঠকের হাতে বোধের একটা ছিপ তুলে দিতে চায়।তবে তা একেবারে সরল বা বিবৃতিধর্মী বাক্যাবলীকেই তার উপকরণ করে না বরং তার দেহাবয়বে রহস্য থাকে।সেইসাথে সমকালীন কবিতায় আস্তিকতাকে যেভাবে উপেক্ষা করা হয় তা না করে আস্তিকতা,নাস্তিকতা দুই ধারাকেই এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়।ফলে ধর্মীয় বিষয়বস্তু এখানে শুধু মিথ নয় বিশ্বাসের উপকরণ হিসেবেও উপস্থাপিত হয়।নতুন ধারা ইতিমধ্যেই সাহিত্য অঙ্গনে তার পরিচয় স্পষ্ট করতে পেরেছে।নানাজন নানা প্রতিক্রিয়া...
ঢাকা যাওয়ার বিরাট আয়োজন শেষে কবি মারুফ বাসে চেপে বসেন। বাস চলছে না ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে বুঝে ওঠা মুশকিল। একটু পরপর বিরাট ঝাঁকুনি। কবি মারুফ এক হাত উঁচু হয়ে আবার চেয়ারে আছড়ে পড়ছেন। তার পাশের ভদ্রলোক একটু...
যে সব বিশিষ্ট লেখকের লেখনীর স্পর্শে বাংলা সাহিত্য ধন্য হয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁদের অন্যতম।বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি ও নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কেশবপুরের অন্তর্গত কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাড়ি গ্রামের বিখ্যাত দত্ত পরিবারে...
নিজের সংস্কৃতিকে যে পরিপূর্ণভাবে আত্মস্থ করতে পারেনি,ভিন্ন সংস্কৃতির উদযাপন তার সৃষ্টিতে মৌলিক কোন সংযোজন করে না।বেশিরভাগ সময়ে তা সম্পর্কহীন ও অনাশ্রিত কিন্তু কারও কারও কৌশলগুণে চোখ ধাঁধানো ব্যাপার সৃষ্টি করে। একদিন সাহিত্যের ভাষাকে বইয়ের ভাষা থেকে মুখের ভাষায় আনার জন্য...
এই বরফ জমা শীতের রাতেও নেহার কপালের বারান্দা চুয়ে টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে লোনা জল। নিজের কাছে বিশ্বাস করতেও দ্বিধা হচ্ছে। অন্ধকারে কোন রকমে পথ খুঁজে নিয়ে নিজের রুমে এসে সটান শুয়ে পড়ে।আজ নেহার বিয়ের প্রথম রজনী। প্রতিটি মেয়ের বুক...
এই শীত উৎপলেন্দু পাল শীত , বড্ড কনকইন্যা শীত টিনের একচালায় ছিঁড়া কাঁথায় দাঁতে দাঁতে খটখটানি বাইদ্য বাজে রোজ শীত , হাড় কাপুইন্যা শীত পুষ মাসে হাড়হাড্ডির কম্পনে যমের পদধ্বনী ট্যার পায় আমাগো বুঁচির মায় শীত , খেজুর রসের টুপটাপ...
কোন সমাজ ও সভ্যতায় বড় ধরনের পরিবর্তন হলে শিল্প ও সাহিত্যেও বড় পরিবর্তন আসে।কারণ,সমাজ ও মানুষের সাথে শিল্প-সাহিত্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের পর নগর সভ্যতার পত্তনের ভেতর দিয়ে মানুষের জীবনে যে বহুমুখী সামাজিক ও মানসিক পরিবর্তন এসেছে তার প্রভাবে...
হে সূর্য!শীতের সূর্যহীম শীতল সুদীর্ঘ রাত কাটাইতোমার প্রতীক্ষায়কবি সুকান্তের এই উক্তির বিশেষত্ব শীতের শিশির ভেজা সময়কে চোখে ভাসায়। হেমন্তের স্নিগ্ধতা আর প্রাচুর্য নিয়ে বাংলার প্রকৃতি যখন সুখের আমেজে টইটুম্বুর তখনই আসে শীতকাল। শীতের হাওয়া মনে হলেই হৃদয়ে অন্যরকম অনুভূতি কাজ...
আচ্ছা, মানুষের হাট মানুষের মেলা কোথায় বসে গো?আমি অনেকদিন মানুষ দেখি না...কেউ কি আমাকে নিয়ে যাবে তোমাদের সাথে-মানুষের হাটে, মানুষের মেলায়?লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, সাদা, কালো মানুষ নয় গো!একেবারে সত্যিকারের একটা মানুষ দেখতে চাই...কতদিন হলো মানুষ দেখি না! একবার মানুষ...
আচ্ছন্ন বরফ রাশির তলে, পৃথিবী সরীসৃপ হবেগিলে খেয়ে কম্বলের ওম!, আর আমরা হবোবরফ-গলা নদী, বুকে উষ্ণতার মৃত্যু পাতা আর ঘাস শুধু, শুকনো খড় সাথে আর দেশলাইয়ের কাঠি, নিয়ম চাইছে আত্মাহুতিরযৌবনের অন্তে দাবানল, অগ্নিগিরির শরিরে ব্যাধিসূর্যের অর্ধেকটা খেয়ে, পৃথিবী সরীসৃপ হবেবুঝিবা...
যখন চেয়েছি তারে,আসেনি সে কোন কালে!ভুল করেই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে,শুধু যে বারে বারে।ভালোবাসায় ভুল কি ছিল? শুধাইও ঐ নদীর পাড়ে পাখিরাও ভুল করে ফিরে আসেঅতিথি হয়ে; বারংবার মনটা কাড়ে!তুমিও তো অতিথি ছিলে,এলে নাভালোবেসে আসলে প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেনিজ ছায়াও থাকে না...
রাত এতো দীর্ঘ বলেইপুরোনো দুঃখ ভর করে চোখের পাতায়ঘুমের শ্রান্তি বিশ্রামে যায় প্রাক্তনে মনে পড়তে থাকে হাজারো পুরোনো রাত্তিরে।তখন পরশ্রীকাতর হইদুঃখিত হইআবেগী হইভয়ংকর হই !হাবিজাবি খড়কুটোয় শেষ হয় সমস্ত রাত্রির ছায়াঅভিশাপ বকে যায়, তপ্ত হয় গানঘরএকা একা ফেলে যায় রাত্রিআমায়...
বাংলা সাহিত্যের অপ্রতিদ্বন্দী কথা শিল্পী, মানবদরদী শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভারতের পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে ১৮৭৬ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায় (১৮৫৬-১৯০২ খ্রি:) এবং মাতার নাম ভূবন মোহিনী দেবী (১৮৬৩-১৮৯৫ খ্রি:) বাল্য ও কৈশর...
সকাল বেলা দাদা-দাদির চিৎকারে ঘুম ভাংগে আরিফের। শিরিনা বেগম চিৎকার করে বলেন,কাল না খুব ভেঙচি দিলে। এখন কী হবে? বলো এখন কী হবে? আনোয়ার হোসেন বলেন,কী আর হবে তুমি সিরিয়ালের উপর উপুড় হয়ে পড়ে থেকো।- কী! কী বললে তুমি? শিরিনা...
আমি কান পেতে শুনি।বাতাসে জাম গাছের পাতার সর সর শব্দ হয়।সব মিলিয়ে হৃদয় হা হা করে উঠে।আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষণ্ণতাই না অনুভব করি।জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে।একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।”(শঙখনীল কারাগার)প্রয়াত ঔপন্যাসিক...