Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রত্যেক মার্কেট ও শপিংমলকে অগ্নিকান্ড মহড়া করতে হবে ত্রাণমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দশ হাজার লেট্রিন নির্মাণ করবে ইউনিসেফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ৩৫ হাজার টয়লেট প্রয়োজন। এর মধ্যে ১০ হাজার টয়লেট নির্মাণ করে দেবে ইউনিসেফ। এই ১০ হাজার টয়লেট তৈরিতে ব্যয় হবে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগামী দুই মাসের মধ্যে এসব টয়লেটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৮৪৯টি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইউনিসেফের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ কথা বলেন। ইউনিসেফের পক্ষে বাংলাদেশের কান্ট্রিও ডিরেক্টর এডওয়ার্ড বিগবেডার এবং বাংলাদেশের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রোহিঙ্গা সেল) হাবিবুল কবির চৌধুরী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এর বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনী। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ শাহ কামালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যেক মার্কেট ও শপিংমলকে অগ্নিকান্ড মহড়া করতে হবে
গতকাল বিকালে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে ভ‚মিকম্প ও অগ্নিকান্ড সচেতনতা মহড়া শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, এমপি বলেছেন, অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি এড়াতে প্রত্যেক মার্কেট ও শপিংমলকে নিয়মিত ভ‚মিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়া করতে হবে। এ কাজে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। অসচেতনতায় যাতে মানুষের জীবন বিপন্ন না হয় তার জন্য সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শাহ কামাল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক খালিদ মাহমুদ ও বসুন্ধরা মার্কেট কর্তৃপক্ষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৭ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটে ভ‚মিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়ার অংশ হিসেবে আজ বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। ইতোমধ্যে নিউমার্কেট ও যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং কমপ্লেক্সে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি ও মহড়া ব্যতিত দুর্যোগকালে সাড়াদান সঠিক হয় না। মহড়া করলে এক ধরনের অভিজ্ঞতা হয় ও ভুল-ত্রুটি শুধরে নেয়া যায়। তিনি বলেন, রাজধানীতে বড় বড় শপিংমল গড়ে উঠেছে যার অনেকে অগ্নিকান্ড মোকাবিলার জন্য তেমন প্রস্তুতি রাখেন না। আবার অনেক শপিংমলের কাছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার গাড়ি যাওয়ার মত পর্যাপ্ত জায়গা রাখেন না। এমনকি আগুন নিভানোর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রাখেন না। এতে দিন দিন অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি বাড়ছে। মন্ত্রী বলেন, অগ্নিকান্ড সাধারণত চুলা, বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট বা ছেঁড়া তার থেকে হয়ে থাকে। তাই নিয়মিত বিদ্যুতের তার ও গ্যাসের লাইন পরীক্ষা করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জানমালের ঝুঁকি পরিহারের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। পর্যায়ক্রমে সকল মার্কেট ও শপিংমলে এ ধরনের মহড়া আয়োজনের জন্য তিনি ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টকে অনুরোধ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ