Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ড রোধে সরকারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাই -পবা

প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাÐ রোধে সরকারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবার নেতৃবৃন্দ। তাদের মতে, নিমতলীর বা ট্যাম্পাকোর মতো ভয়াবহ অগ্নিকাÐসহ অহরহ সংঘটিত দুর্ঘটনা রোধে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে কেমিক্যাল ও বয়লার ব্যবহার নিরাপদ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহের কার্যকর পদক্ষেপের সময় নির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ দরকার। গতকাল শনিবার পবা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেমিক্যাল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাÐ : নিমতলী থেকে ট্যাম্পাকোÑ টনক নড়বে কবে? শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ দাবি জানান। বিশেষ অতিথি ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, দেশে সংগঠিত দ্রæত শিল্পায়নকে টেকসই এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ লক্ষ্যে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাÐ রোধে পরিবেশসহ সংশিষ্ট আইনসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান, আবুল হাসানাত প্রমুখ।
তাদের মতে, ২০১০ সালে ৩ জুন নিমতলীতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাÐ ও বিস্ফোরণে ১২৪ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপর সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপের কথা বলা হলেও বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈধ ও অবৈধ কারখানাগুলো সরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও গত ছয় বছরে নিমতলীর আশপাশের এলাকা এবং পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম, কারখানা, দোকানগুলো সরিয়ে নেয়ার কোনো কার্যত্রম গৃহীত হয়নি। ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর ট্যাম্পাকো অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল প্যাকেজিং কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাÐে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কারখানায় জরুরি নির্গমনের কোনো পথ নেই এবং একটি ফটক দিয়েই শ্রমিকদের আসা-যাওয়া করতে হয়। ২২ আগস্ট চট্টগ্রামের আনোয়ারার ডিএপি ফার্টিলাইজার লিমিটেডে ৫০০ টন অ্যামোনিয়া গ্যাস ধারণক্ষমতার ট্যাংক বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বক্তারা বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় শিল্পকারখানা, রাসায়নিক দাহ্য পদার্থসহ বিভিন্ন মালামালের গুদাম ও দোকান, বাণিজ্যিক কর্মকাÐ এবং আবাসিক ফ্ল্যাট। রাসায়নিক কারখানা, গুদাম, দোকানে আগুন নেভানোর নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনীয় রাস্তার অভাবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারে না। অনেক সময় অগ্নিকাÐস্থলের কাছে জলাধার না থাকায় পানির অভাবে ফায়ার সার্ভিসকে বেগ পেতে হয়। নিমতলী এলাকায় রাসায়নিকের পুরাতন গুদামের সংখ্যা কমে এলেও আবার নতুন গুদাম গড়ে উঠেছে, রয়েছে প্লাস্টিকের অনেক কারখানা। জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের গুদাম, কারখানা ও দোকান সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ড রোধে সরকারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাই -পবা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ