পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে তেলবাহী লরি ও তেলের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। এর মধ্যে মারাত্মক দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ৬ জন। তাদের অবস্থা গুরুতর। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকা-ে মারাত্মক আহত জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান (৫০), বাদশা (৪৫), মাসুদ (২৮), রায়হান (২৩), নুর মোহাম্মদ (২১), ফায়ার সার্ভিস কর্মী মজুমদার খোকন (৪০) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে কমপক্ষে ১২ জন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত (বৃহস্পতিবার) সাড়ে ১২টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মিজিবাড়ি এলাকার সড়কে একটি জ্বালানী তেলের লরি থেকে গোডাউনে পেট্রোল আনলোড করার সময় হঠাৎ আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বাতাসের সাথে সাথে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আগুন লাগে তেলবাহী লরিতে, সেই সাথে জ্বালানী ও ভোজ্য তেলের গোডাউনের তিন তলা বাড়িতে। পরে একের পর এক জ্বলতে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনা, দোকান। তিন তলা বাড়ির লোকজন আশ্রয় নেয় বাড়ির ছাদে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকদের সহায়তায় মই দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অলী উল্ল্যাহ অলী জানান, মিজান নামে এক ব্যবসায়ী বঙ্গবন্ধু সড়কে একটি দোকানে জ্বালানী তেল পেট্রোল অকটেনের ব্যবসা করতো। দোকানের পাশে একটি আবাসিক বাড়ির নিচতলাকে তিনি গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন। গোডাউনটিতে জ্বালানী তেল পেট্রোল অকটেন ছাড়াও ভোজ্য তেল সোয়াবিন, পাম ওয়েল এবং সিলিন্ডার গ্যাস মজুত ছিলো। এ কারণে আগুন লাগার সাথে সাথে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা খোকন মজুমদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের চাঁদপুর, পুরাণবাজার, ফরিদগঞ্জ, হাজিগঞ্জ ও মতলবের ৫টি ইউনিট দীর্ঘ ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মী আহত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বন্ধ করা হয় শহরের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ।
স্থানীয় কমিশনার ডি এম শাহাজাহান জানান, অগ্নিকা-ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য তেলের ড্রাম আর গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে বাস্ট হওয়ায় শহরজুড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অগ্নিকা-ে কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল হাই জানান, অগ্নিকা-ের পর ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ তদারকি করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডলসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তিনি জানান, জ্বালানী তেলের ব্যবসা পরিচালনা করা হলেও গোডাউনটিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষয়-ক্ষতি বেশি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।