Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর আমবাগান বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড অর্ধশতাধিক বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার :রাজধানীর ফার্মগেটে আমবাগান বস্তিতে গতকাল ভয়াবহ অগ্নিকা-ে পুড়ে গেছে অর্ধশতাধিক বসতঘর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ করা জায়গায় গড়ে ওঠা এ বস্তিতে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। এছাড়া রামপুরায় রিয়াদ নামে একটি হোটেলেও অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বস্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার, স্বাস্থ্য সেবা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র মোদক বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমবাগান বস্তিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট দেড় ঘন্টার চেষ্টায় সকাল ১০টার দিকে আগুন নির্বাপন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ হোস্টেল ও গ্রীণ সুপার মার্কেটের পেছনে ওই বস্তির একটি বাসার বৈদ্যুতিক শকসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূচনা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আগুনে ৫৫টি ঘর পুড়ে গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩০ লাখ টাকা। আগুনের তাপ ও ধোঁয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্য খবির উদ্দিন (৩০) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা এখানে ৩০-৩৫ বছর ধরে বসবাস করতো। আগুনে বস্তির অর্ধশতাধিক ঘর পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য সেবা ও খাবারের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন তিনি।
বস্তির বাসিন্দা মালতী প্রসাদ জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে স্বামী-সন্তান নিয়ে আমবাগান বস্তিতে থাকেন। তার স্বামী বাবুল প্রসাদ অসুস্থ। কিছুদিন আগে তার অস্ত্রোপাচার হয়েছে। আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি করে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে তিনি বেরিয়ে গেছেন। ঘরে থাকা টাকা ও মালামাল বের করতে পারেননি। সব পুড়ে গেছে। বস্তির বাসিন্দা রুনা বেগম জানান, তার স্বামী রিকশা চালান। তিনি বিভিন্ন মেস বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। আগুন লাগার পর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি কোনমতে ঘরে থেকে বের হতে পেরেছেন। কোনো মালামালই বাঁচাতে পারেননি। ঝিয়ের কাজ করে জমানো তার ১৫ হাজার টাকা টিনের বাক্সে রেখেছিলেন। তার একটু একটু করে জমানো টাকা পুড়ে গেছে। বস্তির বাসিন্দা বৃদ্ধ আনোয়ারা বেগমের পুড়ে গেছে ৭০ হাজার টাকা।
এদিকে আমবাগান বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রামপুরায় রিয়াদ নামে একটি হোটেলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে লাগা এ নিভিয়ে দ্রুত ফেলে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজধানীর আমবাগান বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড অর্ধশতাধিক বসতঘর পুড়ে ছাই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ