Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করছে না মিয়ানমার

গ্রামের বাজার বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার, খাদ্য পরিবহনে কড়াকড়ি

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক নিন্দা ও সমালোচনা সত্তে¡ও রাখাইনে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও চরমপন্থী বৌদ্ধরা। সহিংসতা থেকে বাঁচতে গত সোমবারও রাখাইন থেকে পালিয়ে সীমান্তবর্তী পালং খালির দিকে এসেছে অনেক রোহিঙ্গা। ৮০ বছরের মাকে ঝুড়ির ভেতরে রেখে তার সঙ্গে বাঁশ সংযুক্ত করে ছেলের সঙ্গে কাঁধে করে নিয়ে আটদিন পায়ে হেঁটে যান সৈয়দ আজিন। ৪৬ বছরের আজিন বলেন, আমার গ্রামের অর্ধেক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি তাদেরকে এটা করতে দেখেছি। আমি সবকিছু ছেড়ে এসেছি। আমার আত্মীয়দের খুঁজে পাচ্ছি না। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা রক্তাক্ত হামলা চালিয়ে লোকদের সীমান্তের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী ও চরমপন্থী বৌদ্ধদের নির্যাতন-সহিংসতা থেকে প্রাণে বাঁচতে গত ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় ৫ লাখ ১৯ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকার সেনা ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলার কথা অস্বীকার করেছে। রাখাইনের বেশ কিছু গ্রামের বাজার বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে সেখানে খাদ্য পরিবহনেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এ কারনে এসব গ্রামে খাদ্য সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। বুথিডং জেলার হিসনিন হিনিন পেয়ার গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, আমাদের কোনো খাদ্য নেই এবং নিরাপত্তার কোনো গ্যারান্টি নেই। গ্রাম থেকে অনেকে পালানোর পরিকল্পনা করছে বলেও জানান তিনি। রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা কিঅ সওয়ার তুন খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, বুথিডংয়ে কাউকে আপনি না খেয়ে মরে যাওয়ার খবর পেয়েছেন? সাগর পথে আসার সময় ৩৫ রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা উপকূলে ডুবে যায়। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১২জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ১৩জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এদেরই একজন ৩০ বছরের সৈয়দ হোসেনের স্ত্রী, তিন শিশু সন্তান, মা ও শ্বশুর ডুবে মারা গেছে। বার্তা সংস্থাকে তিনি বলেছেন, খাদ্য ও টিকে থাকার জন্য আমাদেরকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আমরা এখানে জীবন বাঁচানোর জন্য আসছিলাম। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ