Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিজ্ঞাসার জবাব

প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

১। খাদিজা মুতাহ্হারা বিনতে মফিজ, শাহাপুর, কুমিল্লা।
জিজ্ঞাসা : মানুষের সুন্দর কথায় কী কী উপকারিতা নিহিত আছে? বুঝিয়ে বলুন।
জবাব : আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন শ্রেষ্ঠতম সুভাষী। তিনি সুন্দর করে হৃদয়স্পর্শী কথা বলতেন। তাঁর কথা শুনলে শ্রোতার মনের কষ্ট দূর হয়ে যেতে। মুখে হাসি ফুটত। তিনি কখনো মন্দের জবাবে মন্দ বলেননি। তিনি সব সময় মন্দ কথার জবাবে সুন্দর কথা বলতেন। তিনি ছিলেন সত্যভাষী, স্পষ্টভাষী, ¯িœগ্ধ ভাষী, দৃঢ়ভাষী, শুদ্ধভাষী, সুভাষী। তাই তিনি ছিলেন সব মানুষের সেরা মানুষ। সাহাবায়ে কিরাম সুভাষী ছিলেন। সুন্দর কথা দিয়ে তারা বিশ্বকে জয় করেছিলেন। যেসব মনীষী বিশ্বজোড়া জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তারা সবাই সুভাষী ছিলেন। পৃথিবীতে যত আদর্শই প্রচার হয়েছে, তা হয়েছে সুন্দর কথা দিয়ে, সুবচন দিয়ে। অসুন্দর কথা ও কুবচন দিয়ে কখনো কোনো আদর্শ প্রচার হয়নি, প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বিশ্বের সব ভালো কাজই মানুষের মন জয় করে করতে হয়। আর সুন্দর কথার চেয়ে মানুষের মন জয় করার মোক্ষম কোনো উপায় নেই। সুন্দর কথায় মানুষের মনোকষ্ট দূর হয়। হতাশা, নিরাশা, দুশ্চিন্তা দূর হয়। মন খুশি, সন্তুষ্ট, তৃপ্ত ও সচেতন হয়, বিবেক জাগ্রত হয়। আবেগ, উৎসাহ, উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। রাগ নিভে যায়, গোসা দমে যায়। শত্রুতা কেটে যায়। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, শত্রু বন্ধু হয়ে যায়। সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়, সৌহার্দ্য গড়ে ওঠে। প্রভাব ও আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। ভক্তি, শ্রদ্ধা, বিনয়ভাব সৃষ্টি হয়। ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। ঐক্য ও একতার বন্ধন গড়ে ওঠে। হানাহানি মিটে যায়। শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। সুন্দর করে কথা বলার ব্যাপারে মহান প্রতিপালক বলেছেন : হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। (সূরা আহজাব : আয়াত ৭০)। মানুষের সঙ্গে ভালো কথা বল, সুন্দর কথা বল। (সূরা বাকারা : আয়াত ৮৩) তাদের সঙ্গে দয়া, সহানুভূতি ও নস্রভাবে কথা বল। (সূরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ২৮) তাদের সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বল। (সূরা বনি ইসরাঈল : আয়াত : ২৩) তাদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়ো না। তাদের উপদেশ দাও এবং তাদের সঙ্গে হৃদয়স্পর্শী কথা বল। (সূরা নিসা : আয়াত ৬৩) তোমরা দুজন যাও ফেরাউনের কাছে, সে বিদ্রোহী হয়ে গেছে। আর তার সঙ্গে কোমলভাবে কথা বলবে, যাতে করে সে উপদেশ গ্রহণ করে কিংবা ভীত হয়ে যায়। (সূরা ত্বহা : আয়াত ২০) মহান আল্লাহর এই অমৃতবাণীর দিকে একটু নজর দিলেই দেখতে পাব মহান আল্লাহ সুন্দর, উত্তম ও পূতপরিচ্ছন্ন কথা এবং সুবচনের প্রতি কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন।
সুন্দর কথা বলা প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন : আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে ভালোবাসেন। তিনি সুন্দর কথাকেই পছন্দ করেন আর অসুন্দর কথাকে করেন ঘৃণা। আমরা যদি মানুষের প্রশংসা চাই তাহলে উত্তম আচরণের মাধ্যমেই বোঝাতে হবে যে, আমি তার যোগ্য। আমাদের জীবনের বিস্তৃতীর্ণ আঙিনায় প্রতিদিন কত মানুষের সঙ্গেই না কথা বলি। যদি একটু সুন্দর করে সত্য কথা বলি তাহলে তাদের বিবেক-বুদ্ধি জাগ্রত হতে পারে। আসুন সুন্দর করে সবাই সত্য কথা বলি। আর রাসূলের আদর্শকে অনুসরণ করে জীবন গড়ি।
উত্তর দিচ্ছেন : এইচএম আবদুর রহিম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিজ্ঞাসার জবাব

১৭ নভেম্বর, ২০১৬
১০ নভেম্বর, ২০১৬
৩ নভেম্বর, ২০১৬
২৭ অক্টোবর, ২০১৬
২০ অক্টোবর, ২০১৬
৬ অক্টোবর, ২০১৬
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
২৫ আগস্ট, ২০১৬
১৮ আগস্ট, ২০১৬
১১ আগস্ট, ২০১৬
৪ আগস্ট, ২০১৬
২৮ জুলাই, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ